জার্মান বুন্দেসলিগার ২০২০-২১ মৌসুমে নবম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে স্টুটগার্ট। তাদের এ যাত্রায় সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন সাইলাস ওয়ামানগিতুকা। লিগের ২৭ ম্যাচে করেছেন ১৩ গোল। কিন্তু মৌসুম শেষে জানা গেল, তিনি আসলে সাইলাস ওয়ামানগিতুকা নন। এমনকি ক্লাবে দেয়া জন্ম তারিখও ভুয়া।
স্টুটগার্টের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, গত চার বছর ধরে ভুয়া নাম ও জন্ম তারিখ নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে খেলছেন সাইলাস। যার নাম আসলে সাইলাস কাটোমপা এমভুমপা। এছাড়া এতদিন ধরে ক্লাবে জন্ম তারিখ ১৯৯৯ সাল বললেও, মূলত তার জন্ম ১৯৯৮ সালে।
তবে নাম ও জন্ম তারিখ বদলে ফেলার পেছনে সাইলাসের দায় নেই, তাই নিজেদের খেলোয়াড়ের পাশেই দাঁড়িয়েছে স্টুটগার্ট কর্তৃপক্ষ। মূলত সাইলাসের সাবেক এজেন্টের কারসাজিতেই ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয়েছিল নাম ও জন্ম তারিখ। যা বদলে কঙ্গোর ক্লাব ছেড়ে ফ্রান্সের মিনোস আলেসে যোগ দিয়েছিলেন সাইলাস।
পরের বছর আলেস ছেড়ে প্যারিস এফসির হয়ে খেলেছেন সাইলাস। আর সবশেষ ২০১৯ সালে প্যারিস থেকে সাইলাসকে দলে ভেড়ায় স্টুটগার্ট। তখন তার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছিল ক্লাবটি। সেই চুক্তির দুই বছর শেষ হওয়ার পথে সাইলাসের আসল নাম ও জন্ম তারিখ জানতে পেরেছে স্টুটগার্ট।
এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছে ক্লাবটি। সাইলাসের ব্যাংক একাউন্ট ও পাসপোর্টের তথ্যাদি জব্দ করে নাম ও জন্ম তারিখ বদলে দিয়েছিলেন তার সাবেক বেলজিয়ান এজেন্ট। সেই বদলানো নাম নিয়েই ইউরোপে পাড়ি জমান তিনি। নতুন নামেই খেলছেন গত চার বছর ধরে।
এই কয়েক বছর ধরে মানসিক অশান্তি ও ভয়ের মধ্যেই ছিলেন সাইলাস। অবশেষে নিজের ক্লাবকে সবকিছু বলতে পেরে স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। স্টুটগার্টের দেয়া বিবৃতিতে সাইলাস বলেছেন, ‘নিজের গল্প বলাটা ছিল আমার জন্য কঠিন এক পদক্ষেপ। শুধু আমার নতুন উপদেষ্টার জন্যই এই কাজটা করতে সাহস পেয়েছি।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত ভয়ের মধ্যেই ছিলাম। এছাড়া কঙ্গোতে আমার পরিবারের ব্যাপারেও চিন্তিত ছিলাম আমি। আমি স্টুটগার্ট ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছে এবং সবসময় আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। আমি আশা করছি, একই অবস্থায় থাকা অন্য খেলোয়াড়রাও নিজেদের গল্প তুলে ধরতে পারবে।’
স্টুটগার্টে যোগ দেয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৮ ম্যাচ খেলেছেন সাইলাস। যেখানে তার গোল ২১টি, পাশাপাশি ১৩টি এসিস্টও রয়েছে নামের পাশে।