Image default
খেলা

‘মাঠে বন্ধুত্ব থাকবে না’ নেইমার

মাঠের বাইরে যতই বন্ধুত্ব থাকুক, মাঠের খেলায় বন্ধুত্বের ছিটেফোটাও থাকবে না বলে মেসিকে কঠোর বার্তা পাঠিয়ে দিলেন ব্রাজিল তারকা নেইমার।

আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। লড়াই যেমন দুই দেশের, তেমন একসময়ের দুই সতীর্থের, দুই বন্ধুরও। মহারণের আগে মেসির ভূয়সী প্রশংসা করেও নেইমার জানালেন, সেদিন কোনও বন্ধুত্ব নয়, শত্রু হিসেবেই মেসির বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন তিনি।

দেশের হয়ে একটা কাপ জেতার সাধ লিওনেল মেসির বহু দিনের। আবার বয়সে ছোট নেইমার জুনিয়রও এখন কোপার স্বাদ পাননি। দু’জনেই চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া। দু’জনেই এই টুর্নামেন্টে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। মেসি অবশ্য পরিসংখ্যানে নেইমারের থেকে এগিয়ে, তাঁর তাগিদটা বোঝা খুবই সহজ। এখনও অবধি ৪ গোল করে শীর্ষে আছেন মেসি, নেইমারের গোল ২টি। গোলে সহায়তাতেও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৫টি মেসির দখলে, নেইমারের ৩টি।

মেসিকে এমনিতেই একজন সেরা বন্ধু হিসেবেই আখ্যায়িত করলেন নেইমার। কিন্তু সেটা শুধুই মাঠের বাইরে। মাঠের ভেতরে যখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী, তখন সেই বন্ধুত্ব থাকারই কথা না। তখন সেটা পরিণত হবে শত্রুতায়।

ফাইনালের আগে সাংবাদিকদের ব্রাজিলিয়ান তারকা বললেন, ‘আগেও সবসময় বলেছি, আমি যাদের খেলতে দেখেছি তাদের মধ্যে মেসিই সেরা এবং তিনি আমার ভাল বন্ধুও। কিন্তু এখন আমরা ফাইনালে, আমরা এখন প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি ভীষণভাবে এই শিরোপা জিততে চাই, জিতলে এটাই আমার প্রথম কোপা জয় হবে।

নেইমার এও জানিয়েছেন, ব্রাজিল না থাকলে তিনি চিরকাল মেসির জন্য গলা ফাটিয়েছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে মেসির জন্যই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। নেইমার বলেন, ‘মেসি সব সময়ই জাতীয় দলের হয়ে একটি শিরোপা জয়ের প্রত্যাশী। যতবার তারা ফাইনাল খেলেছে, আমরা (ব্রাজিল) ছিলাম না। সে কারণে আমি প্রতিবারই তার জয় কামনা করেছি, তাকে সমর্থন জানিয়েছি।’

কিন্তু এখন যেহেতু প্রতিদ্বন্দ্বী, সুতরাং নেইমার কোনোভাবেই মেসিকে সমর্থন করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘এখন তিনি (মেসি) ব্রাজিলের প্রতিদ্বন্দ্বী। সে কারণে আমাদের বন্ধুত্বও একটা সীমারেখায় এসে দাঁড়িয়ে গেছে। আমাদের একে অপরের প্রতি সম্মান থাকবেই। কিন্তু জয় নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না। আমরা জিততে চাই।

নেইমার আরও বললেন, যদি কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকে তবে তা ভোলা কঠিন। কিন্তু উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, যখন আপনি ভিডিও গেম খেলেন তখন বন্ধুকে যেভাবে হোক হারাতে চান। শনিবারও (ব্রাজিলীয় সময়ে) সে রকমই ব্যাপার হবে।

 

Related posts

কেইটলিন ক্লার্ক বেঞ্চে রয়েছেন, ক্রিস্টি সাইডস আরেকটি নৃশংস ম্যাচের পরে জ্বর ছিঁড়ছে

News Desk

কাউবয় এবং ইজেকিয়েল এলিয়ট একটি সম্ভাব্য পুনর্মিলনে পারস্পরিক আগ্রহ ভাগ করে নেয়

News Desk

শেষবার পেলেকে দেখতে সান্তোসের রাস্তায় জনতার ঢল

News Desk

Leave a Comment