বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস হাজারো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। তার সময় নেওয়া কঠিন। এই লোকটি এখনও সারা দেশে ছুটছে। সবার সাথে মিশুন। এদেশের আগের ঐতিহ্যের সন্ধান করুন। তিনি খেলার খবর রাখছেন কি না তা নিয়ে সবার কৌতূহল ছিল। কিন্তু প্রশ্ন করতেই তার কণ্ঠে জ্ঞান বেরিয়ে আসে ফুটবলবিশ্বের। সে খবরও রাখে। ফিফা বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ তুলে আনতে পেরে তিনি খুব খুশি। অকপটে কথা বলুন। বাংলাদেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা পিটার হাসকে মুগ্ধ করেছিল। কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কেমন হয়েছে তা তিনি দেখেছেন। প্রতিটা মানুষ কেমন যেন ফুটবলের প্রতি আচ্ছন্ন ছিল।
পিটার হ্যাস শুধু বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের সাথেই যোগাযোগ রাখেন না, তিনি এদেশের নারী ফুটবলকেও অনুসরণ করেন। বাঙালি নারী ফুটবল কোথায় চলে গেছে তিনি জানেন। নারী ফুটবলাররা কীভাবে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকে, কীভাবে এই নারী ফুটবলাররা খেলার মাঠে গড়ে ওঠে—এসবই পিটার হাসের অনুসরণে। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের স্বপ্নও দেখেন তিনি। এই দেশের নারী ফুটবল দলের বিশ্বকাপে খেলার কথা রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা এবং মেক্সিকোর সাথে 2026 বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কিনা ইত্তেফাকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। আছে কাতার বিশ্বকাপের উন্মাদনার ছবি। সাফিয়া চ্যাম্প সাবিনা, সানজিদাদ উদযাপনের ছবি আপলোড করা হয়েছে। সেখানে পিটার হাস স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের নারী ফুটবল নিয়ে কথা বলেন। “চা উইথ বেটার” পর্বে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পুরুষ ও মহিলা দলের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। তার স্বপ্ন বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলবে।
তিনি বলেন: কাতার বিশ্বকাপের সময় আমি রাস্তায় দেখেছি কিভাবে মানুষ আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের শার্ট পরে ফুটবল খেলছে। আমরা আশা করতে পারি বাংলাদেশও ফিফা বিশ্বকাপে খেলবে। আপনারা সবাই বাংলাদেশের জন্য লড়বেন এবং রাস্তায় প্রচুর জনসমাগম হবে। আমরা ভবিষ্যতে সাফল্য আশা করি। পিটার হাস বাংলাদেশে নারী ফুটবলের অগ্রগতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন এবং বলেছেন, “মহিলা ফুটবল দল দক্ষিণ আফ্রিকায় 2027 বিশ্বকাপে খেলতে পারে।” পিটার হাস এদেশের ফুটবলকে খুব ভালোবাসেন। তিনি এদেশে ফুটবলের উন্নতি দেখতে চান। তাই তিনি পুরুষ ও মহিলা ফুটবল দলের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন।