শুরুতে স্কোয়াডেই ছিলেন না। হুট করেই টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। আর সবশেষ স্কোয়াডে আগে থেকেই ইয়াসির আলি রাব্বিসহ একাধিক মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান থাকার পরেও, ম্যাচের মূল একাদশেও জায়গা পেয়ে গেছেন এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
প্রায় ১৬ মাস পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে এর পূর্ণ ব্যবহারই করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যার সুবাদে বাংলাদেশ দলও পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেয়েছে। সাধারণত মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৮ নম্বরে নামানো হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। সেখানেও পেয়েছেন সফলতা।
অধিনায়ক মুমিনুল হক ব্যতীত টপ-অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে বিপর্যয় এড়িয়ে লিটন দাসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা লিটন দাস ৯৫ রান করে ফিরে গেলেও, দলের আশার প্রতীক হয়ে ৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ ১৩ নিয়ে আজ খেলতে নামবেন।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল কত করবে বা কত রান হতে পারে আদর্শ সে বিষয়ে কিছু বলেননি দলের নতুন ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্স। তিনি বরং মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়ে, শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে।
বুধবার ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে প্রিন্স বলেছেন, ‘১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে যতটা সঙ্গ দেবে বাংলাদেশের জন্য ততটাই ভালো হবে। দুই দল ব্যাটিং করার আগে কোনো পিচে কত রান ভালো, সেটা কেউ জানে না। তাই ২৯০ থেকে ৩২০ রানকে আমরা ভালো সংগ্রহ হিসেবে ধরে নিতে পারি না। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, যত বেশি সম্ভব রান করা।
এসময় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের প্রশংসায় প্রিন্স আরও বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছে। ইনিংসের ঐ সময়টায় আমাদের অভিজ্ঞতার দরকার ছিল, সে সঠিক ব্যাক্তি হিসেবে অভাবটা পূরণ করেছে। যে কারণে লিটন তখন চাপমুক্ত ইনিংস খেলতে পেরেছে। তারা একে অপরকে রান করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে।