যখন উইকেটে আসেন, ২ ওভার মাত্র পেরিয়েছে। ৩ রানের মধ্যে সাজঘরে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর নাইম শেখ। এমন পরিস্থিতিতে যোগ্য অধিনায়কের মতোই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
প্রথমে সাকিব আল হাসান, পরে আফিফ হোসেন ধ্রুবর সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন টাইগার দলপতি। তারপরও থামেননি। ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেছেন। করেছেন ফিফটি। মাহমুদউল্লাহর ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে গড়া ৫২ রানের ইনিংসটিই দলকে ঐতিহাসিক সিরিজজয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। তারপর নেতৃত্বেও রেখেছেন বুদ্ধিমত্তার ছাপ।
স্বভাবতই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে উঠেছে মাহমুদউল্লাহর। তবে পুরস্কার হাতে নিয়ে সতীর্থদেরই কৃতিত্ব দিলেন তিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমার মনে হয় ছেলেরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠেছে। আজ রাতে তারা যেভাবে লড়ল, সেটা অবিশ্বাস্য।
নিজের ধরে খেলা ব্যাটিং সম্পর্কে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘এটা ১৫০ রানের উইকেট নয়। যখন আমি আর সাকিব ব্যাটিং করছিলাম, আমরা ভাবছিলাম, একজনকে ১৬-১৭ ওভার পর্যন্ত খেলতে হবে। একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকতে হবে। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা কঠিন। তাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছে।
মাহমুদউল্লাহ যোগ করেন, ‘আমাদের বোলাররাও খুব ভালো করেছে। অনেক কাটার ও স্লোয়ার দিয়েছে। মাঠে যাওয়ার পর আমি চাইছিলাম সাকিব দলের সবার সঙ্গে কথা বলুক। সে বলেছিল, যা কিছুই হোক, আমাদের শুরুতে উইকেট নিতে হবে। তাদের ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার হাতে উইকেট ছিল। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের আলাদা প্রশংসা করে রিয়াদ বলেন, ‘মোস্তাফিজ আবারও দুর্দান্তভাবে দায়িত্ব নিল। সে আজ অসাধারণ ছিল। আমরা মনে করি, আমাদের দলটা খুব ভালো। হয়তো র্যাংকিংয়ে সেটা বোঝা যায় না।