বৃষ্টিতে একবার খেলা বন্ধ। ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার কারণে খেলা শুরু হলো। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি আবারও বাগড়া বাধিয়েছে। মাত্র ৭ মিনিট খেলা হলো। বল গড়ালো ১৪টি। তাতেই ফের নামলো বৃষ্টি। পড়িমড়ি ক্রিকেট ছুট লাগালো ড্রেসিং রুমের দিকে। সুতরাং, বৃষ্টিতে আপাতত বন্ধ রয়েছে খেলা।
দ্বিতীয়বার বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের রান ছিল ৪৩.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান। ৯৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম। তার সঙ্গী সাউফউদ্দিন রয়েছেন ৮ রানে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মোতাবেক বৃষ্টি এলো ঠিকই। তবে প্রথমবার সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে প্রথমবার ২৫ মিনিট বন্ধ ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। খেলা পুনরায় শুরু হলেও আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা।
সেই মেঘের আনাগোনা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর হয়ে গেলো। যার ফলে নামলো মুষলধারে বৃষ্টি। খেলার বাইলজ অনুসারে সোয়া ৫টার মধ্যে যদি আবার শুরু করা যায়, তাহলে ওভার কাটা হবে না। এরপর গেলেই ওভার কাটা হবে দুই দলের পক্ষ থেকেই। প্রথমবার বৃষ্টি নামার আগে খেলা ৪১.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করে বাংলাদেশ দল।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১৫ রানের মধ্যে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান সাজঘরের পথ ধরেন।
অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে ইসুরু উদানাকে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু দুশমন্ত চামিরার পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
ওভারের প্রথম বলেই দারুণ এক ইনসুইঙ্গারে তামিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন চামিরা। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিয়ে নেয়, তাতেই বাজিমাত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ৬ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে।
ওই ওভারেরই চতুর্থ বলে চামিরার আরেকটি ইনসুঙ্গারে পরাস্ত হন সাকিব আল হাসান। এবার আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুলে দেন, আউট বুঝতে পেরে রিভিউ নেননি সাকিব।
অফফর্মে থাকা লিটন আজ বেশ দেখেশুনে খেলছিলেন। কিন্তু ২৫ রানে পৌঁছার পর ভুল শট খেলে বসেন। সান্দাকানকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ওপেনার। এরপর দলে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ রানেই আউট হন এই অলরাউন্ডার।
দলীয় ৭৪ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর প্রথম ম্যাচের মতো আবারও দলের হাল ধরেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে দুই ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৮৭ রান। হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও ৪১ রানে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে সকল দায়িত্ব গিয়ে বর্তায় মুশফিকের কাঁধে। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ঠিক পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু তার সেঞ্চুরিটি হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে খেলা।