শেরে বাংলায় খেলা আবাহনী এবং ওল্ডডিওএইচএসের; কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের এ ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত, নাইম শেখ, মুশফিকুর রহীম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আরাফাত সানি আর তাইজুলদের বিপক্ষে খেলছেন কারা? তা কি জানেন?
তাহলে শুনুন, ওল্ডডিওএইচএসের উদ্বোধনী বোলার খোদ অধিনায়ক মোহাইমিনুল খান। অন্য বোলাররা হলেন আব্দুর রশিদ, আসাদুজ্জামান পায়েল, রাকিবুল হাসান, মোহাম্মদ শান্ত ও রেয়ান রহমান।
এই একঝাঁক বোলারের মধ্যে একজনের নাম কম-বেশি সবাই জানেন, তিনি রাকিবুল হাসান। বাঁ-হাতি স্পিনার। যুব বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের অপরিহার্য্য সদস্য। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনারদের মধ্যে তাকেই ভাবা হয় সবচেয়ে মেধাবি ও প্রতিশ্রুতিশীল।
এসব আনকোরা বোলিংয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের একঝাঁক তারকায় ঠাসা আবাহনীর লড়াই দেখে যে কেউ বলবেন ‘অসম লড়াই’। কিন্তু আবাহনীর ব্যাটিং দেখে কিন্তু অসম লড়াই মনে হয়নি।
প্রেস বক্সে একজন বলে উঠলেন, এ ম্যাচের আবাহনী তো নয় যেন জাতীয় দল বা জাতীয় দলের ছায়া; কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলায় ওল্ডডিওএইচএসের বিপক্ষে সেই ছায়া জাতীয় দলের পারফরম্যান্স কী জানেন?
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীর ইনিংস শেষ ১৩৫ রানে। শেষ পর্যন্ত আকাশী জার্সিধারীদের স্কোর ১৩০-এর ঘরে পৌঁছুলেও এক সময় মনে হচ্ছিল ইনিংস না আবার ১০০’র নিচে আটকে যায়!
সাইফউদ্দিন শেষ দিকে ঝড়ের গতিতে ১৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস না গড়লে আবাহনীর অবস্থা যে কী হতো? শুরুর পর থেকে ১৩ ওভার পর্যন্ত আবাহনীর অবস্থা ছিল চরম খারাপ। ৭২ রানে ইনিংসের প্রথম অর্ধেক শেষ।
ওল্ডডিওএএইচ বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল আফিফ হোসেন ধ্রুব’র ক্যাচ ফেলে না দিলে আবাহনীর অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারতো। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ২৭ রানে নট আউট থাকলেও আফিফ শূন্য এবং ৮ রানে পরপর জীবন পান।
এর মধ্যে স্পিনার মোহাম্মদ শান্তর বলে ওয়াইড লংঅন আর ডিপ মিডউইকেটের মাঝামাঝি রাকিবুল চার বারের চেষ্টায়ও আফিফের ক্যাচ ফেলে দেন।
এরআগে আবাহনীর ৫ প্রতিষ্ঠিত উইলোবাজ ওপেনার নাইম শেখ ২৩ (২১), মুনিম শাহরিয়ার (১৩ বলে ১৬), ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত (১০ বলে ১১), মুশফিকুর রহীম (১১ বলে ৬) ও মোসাদ্দেক (১২ বলে ৮) আউট হন।
এক একজনের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি তারা জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান, খেলছেন একঝাঁক আনকোরা নবীন বোলারের বিপক্ষে। না বিগ হিট নিতে পেরেছেন, না সিঙ্গেলস-ডাবলসে রান চাকা সচল রাখতে পেরেছেন।
যেনতেনভাবে শট খেলতে গিয়ে নাইম শেখ ধরা পড়েন মিডঅনে। তার প্রচন্ড জোরে ড্রাইভ গিয়ে জমা পড়ে মিডঅনে দাঁড়ানো মোহাইমিনুল খানের হাতে।
নাজমুল হাসান শান্ত ক্যাচ দেন লং অনে। আর রাকিবুলের বাঁ-হাতি স্পিনে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিকুর রহীম। এছাড়া মোসাদ্দেক ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে।
৭২ রানে ৫ উইকেট খোয়ানোর পর সাইফউদ্দিন আর আফিফের ষষ্ঠ উইকেটে জুড়ে দেয়া ৬১ রানেই আবাহনী চলে যায় ১৩০’র ঘরে। সাইফউদ্দিন তিনটি বিশাল ছক্কা ও দুই বাউন্ডারি হাঁকানোর পর ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দেন আনিসুল ইসলাম ইমনের বলে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন।
রাকিবুল ৩ ওভারে ১০ রানে ২ আর অধিনায়ক মোহাইমিনুল ২৫ রানে দখল করেন ২ উইকেট।