Image default
খেলা

মেসির পেনাল্টিতে পিএসজির রোমাঞ্চকর জয়

কিলিয়ান এমবাপের দারুণ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়াল লাইপজিগ। আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত করে এগিয়েও গেল তারা। তবে রুখতে পারল না তারকাসমৃদ্ধ পিএসজিকে। সাত মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে দলকে অসাধারণ এক জয় এনে দিলেন লিওনেল মেসি।

পুরো ম্যাচে বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা পিএসজি আক্রমণে অবশ্য পিছিয়ে ছিল। তাদের ১২ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে আর লাইপজিগের ১৮ শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল।

প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া লাইপজিগ ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে শুরুটা করে আশা জাগানিয়া। প্রথম সাত মিনিটে দুবার প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে তারা।
তৃতীয় মিনিটে ছয় গজ বক্সের ডান দিক থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে বসেন কনরাড লাইমার। সপ্তম মিনিটে আন্দ্রে সিলভার প্রচেষ্টা ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান কেইলর নাভাস, পরে দুরূহ কোণ থেকে লাইমারের শট ঠেকিয়ে দেন কোস্টা রিকার এই গোলরক্ষক।

এর দুই মিনিট পরই প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় পিএসজি। নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে মার্কিনিয়োস মাঝমাঠের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান। ইউলিয়ান ড্রাক্সলার পাস দেন এমবাপেকে। বল ধরে এগিয়ে লাইপজিগ বক্সের মুখে গিয়ে এক ঝটকায় সামনের প্রতিপক্ষকে এলোমেলো করে দিয়ে নিচু শটে গোলটি করেন ফরাসি তারকা।

পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা দ্রুত সামলে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে মনোযোগ দেয় লাইপজিগ। ২৬তম মিনিটে মুকিয়েলে গোলমুখে বল বাড়ালেও টোকা দেওয়ার মতো সেখানে তার কোনো সতীর্থ ছিল না। পরের মিনিটে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড আন্দ্রে সিলভার প্রচেষ্টা পোস্টে লাগলে হতাশা বাড়ে সফরকারীদের।

দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ২৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। মাঝমাঠ থেকে তিন জনের পা হয়ে বল ঠিকানা খুঁজে পায়। সতীর্থের লম্বা ক্রস বাঁ দিকে পেয়ে বক্সে ঢুকে আনহেলিনো কোনাকুনি পাস দেন ছয় গজ বক্সে আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরালো শটে নাভাসকে পরাস্ত করেন সিলভা।

বিরতির আগে এগিয়েও যেতে পারত তারা। তবে পিএসজির দুই ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেস ও প্রেসনেল কিম্পেম্বের বাধা এড়িয়ে ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুর বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া নিচু শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

প্রথমার্ধে পিএসজি প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও আক্রমণে একটু এগিয়ে ছিল লাইপজিগ। বিরতির পরও আক্রমণাত্মক শুরু করে তারা।
প্রথম ছয় মিনিটে তিনবার ভীতি ছড়ানো দলটি এগিয়ে যায় ৫৭তম মিনিটে। বাঁ থেকে আনহেলিনোর ক্রস ছয় বক্সের মুখে পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলটি করেন নর্দি মুকিয়েলে।

৬৫তম মিনিটে আবারও নাভাসের নৈপুণ্যে বেঁচে যায় পিএসজি। সিলভার কাছ থেকে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই সমতা টানেন প্রথমার্ধে আক্রমণে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারা মেসি।

লাইপজিগ নিজেদের সীমানায় পজেশন হারালে বল ধরে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন এমবাপে। প্রথম ছোঁয়ায় মেসির নেওয়া শটে বল গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসছিল। ছুটে গিয়ে টোকায় বাকি কাজ সারেন আর্জেন্টাইন তারকা।

সফল স্পট কিকে ৭৪তম দলকে আবারও এগিয়ে নেন মেসি। ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা এমবাপে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা।

পিএসজির জার্সিতে মেসির এটি তৃতীয় গোল এবং সবকটিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় এটি তার ১২৩তম গোল।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আশরাফ হাকিমি ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে দ্বিতীয় পেনাল্টিটি পায় পিএসজি। উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন এমবাপে।
তবে কাঙ্ক্ষিত জয়ে গ্রুপের শীর্ষে ফিরেছে তারা। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৭।

Related posts

কাতার বিশ্বকাপে আরও এক সাংবাদিকের মৃত্যু

News Desk

তিনে সাকিবকে দেখা যাচ্ছে না: তামিম

News Desk

‘এটি কঠিন ছিল’ ইউকনের ড্যান হার্লি বাস্কেটবল রয়্যালটি দ্বারা বেষ্টিত বেড়ে ওঠার কথা মনে রেখেছেন

News Desk

Leave a Comment