মেক্সিকোর ডি-বক্সের সামনে ডি মারিয়ার পাস পেলেন মেসি। সেখান থেকে বাঁ পায়ের গড়ানো শট। গোলকিপার ওচোয়াকে পরাস্ত করে বল জড়িয়ে যায় জালে, গোল। আরেকটি মেসি ম্যাজিক। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে আরেকটি গোল, এবার আলেবেসিলেস্তদের তরুণ তুর্কি ২১ বছর বয়সী এনসো ফের্নান্দেজ। গোলের উৎস (অ্যাসিস্ট) সেই মেসি। মেসির কাছ থেকে পাওয়া পাস রিসিভ করে দুই ডিফেন্ডারকে পায়ের দোলায় কাটিয়ে দুরন্ত শটে বল জালে জড়ান তরুণ এই মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে বেঁচে রইলো আর্জেন্টিনার আশা।
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আর্জেন্টিনার। এই পরাজয়ের ফলে আর্জেন্টিনা কার্যত নকআউট পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে। হারলেই বিদায়! এমন পরিস্থিতিতে আজ লুসাইল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। কোচ স্কালোনি আগের ম্যাচ থেকে এই ম্যাচে এনেছেন পাঁচটি পরিবর্তন। শুরু থেকেই কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। তবে বলার মেতো কোনও আক্রমণ শানাতে পারেনি তারা। বলা যায়, ছন্দহীন এলোমেলো ফুটবলই খেলেছে শুরু থেকে।
খেলার ২০ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় মেক্সিকো। ফাউল করলেন ওটামেন্ডি। ছোট ফ্রি-কিক নিয়ে ক্রস ভাসানোর চেষ্টা করল মেক্সিকো। তাতে কিছু সুবিধা হলো না।
খেলার ২৯ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ক্রস ভাসিয়েছিলেন আকুনা। মেসি হেড করেন। বল বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। তার আগেই আকুনা ফাউল করায় রেফারি ফ্রি-কিকের নির্দেশ দেন।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল মেক্সিকো। ভেগার দুর্দান্ত শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো। গোলশূন্য বিরতিতে যায় উভয় দল।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেন গুতিরেজ। নিজের জায়গায় ফ্রি-কিক পান মেসি। সেখান থেকে বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন মেসি। সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা।
৬০ মিনিট আরও একটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন ডি মারিয়া। বক্সের ডান দিক থেকে পাস বাড়ান। লাউতারো তখন বলের ধারেকাছেও ছিলেন না।
অবশেষে ৬৪ মিনিটে গেলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ত্রাতা সেই মেসিই। ডান দিক থেকে ডি মারিয়া পাস দিয়েছিলেন মেসিকে। বাঁ পায়ের মেসির গড়ানো শট গোলকিপার ওচোয়াকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের ৮৭ মিনিট। বক্সের ডান দিকে মেসির পাস। বল রিসিভ করে দুজন ডিফেন্ডারকে পায়ের দোলায় কাটিয়ে গোলের কোণ দিয়ে দিয়ে বল জালে জড়ালেন তরুণ মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেজ। ২-০ গোলে এগিয়ে ম্যাচ কার্যত মেসিদের পকেটে চলে যায় তখনই।
ম্যাচের শেষে আর কোনও গোল না হলে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে যেতে আর্জেন্টিনাকে পরের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও জিততে হবে।