দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলে সোজা ভারতে চলে যান মোস্তাফিজুর রহমান। সেখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলছেন এই পেসার। আগামী মে মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা দল আসবে বাংলাদেশে। আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় এই সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা কম। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, দরকার হলে মোস্তাফিজ টেস্টে খেলবেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মোস্তাফিজের আগ্রহ বরাবরই কম। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি পেসার কথাটা স্পষ্ট করে বলেছেনও। পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয় বলে দীর্ঘদিন ধরে এই ফরম্যাটের বাইরে তিনি। বিসিবিও বাঁহাতি পেসারকে ‘ছাড়’ দিয়ে আসছে। তবে সামনে যখনই দরকার হবে, তখনই মোস্তাফিজকে টেস্টে খেলানো হবে বলে জানিয়েছেন পাপন।
আজ (শনিবার) বিসিবির ইফতার মাহফিল শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘মোস্তাফিজ টেস্ট খেলছে না। এখন আমাদের কাছে তাসকিন, শরিফুল, এবাদত আছে৷ আমাদের যখন তাকে দরকার হবে, তখন অবশ্যই সে টেস্ট খেলবে। সে অবশ্যই খেলবে।’
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। এছাড়া সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টেস্ট ফরম্যাটে চুক্তিবদ্ধ হননি বাঁহাতি পেসার। তবে পাপন বলছেন অন্য কথা, ‘মোস্তাফিজ কিন্তু টেস্টের জন্য নাম লেখায়নি। সে বলেনি টেস্ট খেলতে চায়। ও কী বললো, সেটা বড় কথা নয়। মোস্তাফিজকে যখন দরকার হবে, অবশ্যই সে খেলবে। এখন যদি আমার শ্রীলঙ্কা সিরিজেও মোস্তাফিজকে দরকার হয়, অবশ্যই খেলবে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। ১০ ও ১১ মে বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলে পরের দিন চট্টগ্রামে যাবে সফরকারীরা।
প্রথম টেস্ট হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১৫ মে শুরু প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ঢাকায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লাল বলের শেষ ম্যাচের লড়াই শুরু ২৩ মে। ম্যাচ দুটি আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।