Image default
খেলা

ম্যাচে বাংলাদেশের আর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ইমরান

টার্গেট ছিল ৪৩৭ রান। তার ১৭৭ রান করতেই শেষ ইনিংসের অর্ধেকটা। এখন শেষ দিনে চাই ২৬০ রান। হাতে আছে ৫ উইকেট। উইকেটে আছেন লিটন দাস।

পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। আর তার সাথে আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান না হলেও তারও ব্যাটিং অ্যাবিলিটি আছে। মিরাজও ব্যাট করতে পারেন। বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে তারও।

কিন্তু তারপরও সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ এটাই শেষ ব্যাটিং পেয়ার। এরপর আছেন চার বোলার তাইজুল, তাসকিন, আবু জায়েদ রাহী আর শরিফুল।

খেলার এই অবস্থায় আজ রোববার পড়ন্ত বিকেল গড়াতেই আশা ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ভক্ত ও সমর্থকরা। কারণ, উইকেটে বল টার্ন করছে। বিপজ্জনকভাবে লাফিয়েও উঠছে। তবে নিচু হয়নি এখনো। আর এ পিচের সহায়তায় রুদ্র মুর্তিতে দুই লঙ্কান স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা আর রমেশ মেন্ডিস।

তাদের বলে দিশেহারা তামিম, সাইফ, শান্ত, মুমিনুল আর মুশফিকের মত ব্যাটসম্যান। খেলার এই অবস্থায় কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ?

জাগো নিউজের পক্ষ থেকে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শেষে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলে জাতীয় কোচ সারোয়ার ইমরান বলেন, ‘ম্যাচে আমরা কোথাও নেই। আমাদের এখন ১০ পারসেন্টও দেয়া যায় না। ৯৯ ভাগই লঙ্কানদের। আমার চোখে আমাদের কোনোই চান্স নেই। ড্র করারও আমি কোন সুযোগ দেখছি না। এখন যদি কিছু হয় সেটা হবে- মিরাকল। শেষ পর্যন্ত এমন হতাশা সঙ্গী হলেও কোচ সারোয়ার ইমরান আশায় ছিলেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ম্যাচের মত হতে পারে। কেউ একজন দেড়শো করে ফেললে আর একজোড়া বিগ ফিফটি হলেই হয়ত হয়ে যেত। কিন্তু তার আর হয়নি।

ইমরান মানছেন, ‘অবশ্য উইকেটও খানিকটা কঠিন।’

তারপরও তার উপলব্ধি, ‘ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলেনি। টার্গেট ফোর্থ ইনিংসের আলোকে টার্গেট অনেক বড়। কয়েক মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিয়েছে ভাল খেললে ওই রান টপকানো সম্ভব। ওই ধরনের কিছুই হয়নি। উইকেটে হেল্প আছে বোলারদের। কিন্তু আমরা ধরা খেয়েছি নিজেদের ভুলে। ব্যাটসম্যানদের টেম্পরামেন্ট কম। সবাই সেট হয়ে আউট হয়ে গেছে। যদিও উইকেটে টার্ন আছে। বাউন্সও আছে। তারপরও আমার মনে হয় আরও ভাল খেলা উচিৎ ছিল। যে দুই লঙ্কান স্পিনার আমাদের ব্যাটসম্যানদের বধ করেছেন সেই প্রাভিন জয়াবিক্রমা আর রমেশ মেন্ডিস কেউই খুব অভিজ্ঞ স্পিনার নন। আহামরি মানেরও নন।’

মুশফিক-মুমিনুল অনেক বড়বড় পেসার স্পিনারকে মোকাবিলা করেছেন। এই শ্রীলঙ্কায় রঙ্গনা হেরাথের মত বোলারের বিপক্ষে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি আছে। অথচ আজ এখানে দু’জন অনভিজ্ঞ স্পিনারের বিপক্ষে তামিম, মুশফিক আর মুমিনুলের মত ব্যাটসম্যান নাকানি চুবানি খেলেন।

কারণ কী? ইমরানের ব্যাখ্যা, ‘কারণটা হলো আমরা ৪ দিনের ম্যাচ কম খেলি। টেম্পরামেন্ট কম।’

ইমরান যোগ করেন শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস কম রানে গুটিয়ে যাওয়ায় আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটসম্যানদের মনের ভিতরে ঢুকে গেছে যে উইকেট খারাপ। এখানে টিকে থাকা যাবে না। আসলে উইকেট তত খারাপ না। টার্ন ও বাউন্স থাকলেও বাউন্সটা ইভেন। বাউন্সটা এমন না যে বল নিচু হচ্ছে। ব্যাটিং ভাল হওয়া উচিৎ ছিল।’

মূল সর্বনাশটা কী প্রথম ইনিংসেই হয়েছে? ‘হা তাতো হয়েছেই। প্রথম ইনিংসে ৪০০ প্লাস করতে পারলেও একটা কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আমরা বাজে ব্যাটিং করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা ভাল করতে পারতাম। শান্তকে বাদ দিলে সবাই সেট হয়ে আউট হয়েছে।’

তবে মুশফিকের বলটা অনেক অপ্রত্যাশিতভাবে লাফিয়ে উঠেছে। ওই ডেলিভারি এত ওপরে ওঠার কথা না। ইমরানের শেষ কথা, ‘লোকাল ক্রিকেটের মান বাড়াতে হবে। ক্রিকেটারদের চারদিনের ম্যাচ খেলার তাগিদ তৈরি করতে হবে। তাদের বাধ্য করতে হবে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ বেশি করে খেলার জন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে যত দিন চারদিনের ম্যাচ খেলার অভ্যাস তৈরি না হবে, ততদিন এমন পারফরমেন্সই হবে। আসলে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচের অভিজ্ঞতা বাড়ানো ছাড়া এমন সব পরিস্থিতিতে, সংকটে বিপদে হাল ধরার মানসিকতা, টেম্পরামেন্ট ও সাহস জন্মাবে না।

Related posts

সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে কানাডা-ক্রোয়েশিয়া

News Desk

স্কটী শেফলার মেমোরিয়ালে বাবা হিসাবে প্রথম জয়ের পরে তার স্ত্রী এবং নবজাতক পুত্রের সাথে একটি কোমল মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছেন

News Desk

“হাথোরোসিংহে বিশ্বের সেরা কোচ হলেও, এটা আমার কাছে কোন ব্যাপার না।”

News Desk

Leave a Comment