রংপুরের কাছে পাত্তাই পেলো না চট্টগ্রাম
খেলা

রংপুরের কাছে পাত্তাই পেলো না চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। ১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২৪ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। মাহেদি হাসানকে ১ ও তিন নম্বরে নামা পারভেজ হোসেন ইমনকে ৬ রানে ফিরিয়ে দেন স্পিনার শুভাগত।



তৃতীয় উইকেট পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। কিন্তু নবম ওভারে চট্টগ্রামের শ্রীলংকান স্পিনার বিজয়কান্তের বলে থামেন নাইম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া  রংপুরের  হাল ধরেন মালিক ও আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাই। দ্রুত রান তুলতে চট্টগ্রামের বোলাদের উপর চড়াও হন মালিক। স্পিনার তাইজুল ইসলামের প্রথম ও তৃতীয় ওভারে ৫টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন মালিক। তাইজুলের করা  তৃতীয় ও ইনিংসের ১৪তম ওভারে ২৫ রান তুলেন মালিক। ঐ ওভারেই ২৮ বলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পান  মালিক। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪তম ওভারেই ১শ রান স্পর্শ করে রংপুর।



মালিকের অর্ধশতকের পর মারমুখী হয়ে উঠেন ওমারজাই। বিজয়কান্তর শেষ দুই ওভারে ৩টি ছয় ও ১টি চার মারেন তিনি। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে পেসার মেহেদি হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৪ বলে ৪২ রান করা  ওমারজাই। ওমারজাই চতুর্থ উইকেটে মালিকের সাথে ৫৩ বলে ১০৫ রান যোগ করেন।



শেষ ওভারে পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজকে ৯ ও শামীম হোসেনকে ৭ রানে শিকার করেন রানা। ৪৫ বলে ৭৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মালিক। ৫টি করে চার-ছয় মারেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।

বল হাতে চট্টগ্রামের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৯ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রানা। ৩ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শুভাগত।



১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলীয় ১১ রানে তিন ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। ৩ বলে ৪ রান করে উসমান খান, ৮ বলে ৬ রান করে খাজা নাফি ও ৪ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান তৌফিক খান।



এরপর ডারউইস রাসুলিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট ৬৬ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তবে দলীয় ৭৭ রানে ১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন ডারউইস রাসুলি। এরপর ক্রিজে আসা জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন শুভাগত হোম।  



এরপর দলীয় ১০৩ রানে ১২ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। জিয়াউরের বিদায়ের পর পর আউট হন শুভাগত হোম। দলীয় ১১০ রানে ৩১ বলে ৫২ রানে আউট হন শুভাগত। এরপর দলীয় ১২৩ থেকে ১২৪ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারালে ১২৪ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুরের পক্ষে হারিস রউফ নেন ৩টি উইকেট।      

Source link

Related posts

49ers একটি রুক্ষ মরসুমের পরে নিক সোরেনসেনকে ডিফেন্সিভ কোঅর্ডিনেটরের কাজ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে

News Desk

ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের প্রতি কোবে ব্রায়ান্টের ভালোবাসা আবারো ফুটে উঠেছে কারণ স্মৃতিগুলোও সামনে এসেছে

News Desk

ক্যাটলিন ক্লার্কের নৃশংস খেলা যথেষ্ট ছিল না কারণ জ্বর টানা পঞ্চম স্থানে পড়েছিল

News Desk

Leave a Comment