বিপিএলের অষ্টম আসর শেষ হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। কিন্তু সফরকারীদের অনুরোধে সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সিরিজের আগেই এসে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে বিসিবির কাছে অনুরোধ করেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। অতিথিদের সম্মান জানিয়ে সিলেটে কন্ডিশনিং ক্যাম্পর সুযোগ দিচ্ছে বিসিবি।
যার ফলে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখতে যাচ্ছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিরা। এই সফরে টাইগারদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে আফগানরা। ওয়ানডে ম্যাচগুলো হবে চট্টগ্রামে, টি-টোয়েন্টি দুটি মিরপুর স্টেডিয়ামে। করোনাকালে সরকারের বিধিনিষেধের কারণে দর্শক ছাড়াই মাঠে গড়াতে পারে এই সিরিজ। গতকাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। সিরিজের চূড়ান্ত সূচি এখনো ঘোষণা করেনি বিসিবি।
তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৩, ২৫ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সাগরিকায় অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরে মিরপুরে দুই টি-টোয়েন্টি। দ্রুতই সূচি ঘোষণা করবে বিসিবি।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী গতকাল বলেছেন, ‘আফগানিস্তান আমাদের অনুরোধ করেছে তারা একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবে। এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পটা আমরা সিলেটে আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছি। ৪-৫ দিন আগে হয়তো তারা আসবে। এই মুহূর্তে যে সূচি করা আছে তাতে আমরা আশা করছি, আফগানিস্তান আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির দিকে আসবে।’ প্রাথমিকভাবে সিলেটেও ম্যাচ আয়োজনের চিন্তা করেছিল বিসিবি। পরে সেই চিন্তা বাদ দিয়ে সিরিজের ভেন্যু মিরপুর ও চট্টগ্রামই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমরা যেটা পরিকল্পনা করেছি, আমরা ওয়ানডেটা চট্টগ্রামে এবং টি-টোয়েন্টিটা ঢাকাতে আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছি।’
এদিকে করোনার কারণে গতকালই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরো ২ সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার। জনসমাগমের ক্ষেত্রে আগের বিধিনিষেধই বহাল থাকছে। সেক্ষেত্রে বিপিএলের মতো আফগান সিরিজেও দর্শক থাকার সম্ভাবনা কম।
সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে জানিয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আফগানিস্তান সিরিজে দর্শকের ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের যে গাইডলাইন সেটা আমরা অনুসরণ করব।’