দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৮ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ জিতে নিল পাকিস্তান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বশেষ ২০১৩-১৪ মৌসুমে। দীর্ঘ সময় পর বাবর আজমের নেতৃত্বে ফের ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এই জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে মূল্যবান ৪০ পয়েন্টও অর্জন করে নিল পাকিস্তান।
আইপিএলের কারণে এমনিতেই শেষ ওয়ানডেতে খেলেনি রাবাদা, ডি কক, এনরিচ নকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি ও ডেভিড মিলারের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। তার উপর শেষ ওয়ানডের আগে ইঞ্জুরিতে পড়েছিলেন ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা ভ্যান ডার ডুসেন এবং শেষ ম্যাচে বাদ পড়েছেন বোলার শামসি।
সেঞ্চুরিয়ানে তারকাবিহীন ক্রিকেটারদের ছাড়াই টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আগে ব্যাটিং পেয়ে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে ১১২ রান তোলেন এই দুই ওপেনার।
ইমাম বিদায় নিলেও নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের ফর্ম শেষ ম্যাচেও টেনে আনেন ফখর। আগের ম্যাচে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা ফখর এবং অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটে বড় স্কোরের উঁকি দিচ্ছিল পাকিস্তান। তবে এই দু’জনের ৯৬ রানের জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মহারাজ।
ফখরের ১০১ এবং বাবর আজমের ৮২ বলে ৯৪ রানের পাশাপাশি হাসান আলীর ব্যাটিং তাণ্ডবে স্কোরকার্ডে ৩২০ রান তোলে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের মধ্যে ৪৫ রান দিয়ে তিন উইকেট লাভ করেন মহারাজ এবং ৪৮ রান দিয়ে দুটো উইকেট লাভ করেন মার্করাম।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মার্করাম এবং মালানের দারুণ শুরুর পরও ১৪০ রানে পাঁচ উইকেট বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। মালান একাই করেন ৭০ রান। সেখান থেকে কাইল ভেরেইনে ও অ্যান্ডিলে ফেহলুওয়ার জুটি সিরিজ জয়ের আশা উঁকি দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের।
তবে তাঁদের ১০৮ রানের জুটি ভাঙেন হ্যারিস রউফ। ৫৩ বলে ৬২ রান করা ভেরেইনেকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নেয় পাকিস্তান। ভেরেইনের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরেন ৫৪ রান করা ফেলুকওয়া-ও। ফলে ২৯২ রানেই থামতে হয় প্রোটিয়াদের। ব্যাট হাতে ৯৪ রান এবং সিরিজ জুড়ে অসাধারণ ব্যাটিং করায় ম্যাচ সেরা এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠে বাবর ও ফখরের হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাকিস্তান ৩২০-৭ (ওভার ৫০)
ফখর ১০১, বাবর ৯৪ : মহারাজ ৩-৪৫
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯২ (ওভার ৪৯.৩)
মালান ৭০, ভেরেইনে ৬২ : নাওয়াজ ৩-৩৪