ম্যাচের প্রথম দুই দিন নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতেই ছিল। তৃতীয় দিন সকালে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস মিলছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে। বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে নিরাপদে প্রথম সেশন কাটিয়ে দিয়েছে তারা। তবে ৫০০ ছাড়িয়ে ম্যাচে না হারার নিশ্চয়তা একপ্রকার পেয়েই গেছে বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৩০ রানে পিছিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। হাতে রয়েছে পুরো দশটি উইকেট। এর আগে বাংলাদেশ দল ইনিংস ঘোষণা করেছে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রানে। আজ ফিফটির দেখা পেয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম।
দিনের পঞ্চম ওভারেই দলীয় ৫০০ রান পূরণ করে বাংলাদেশ। এর সঙ্গেই যেন মেলে না হারার নিশ্চয়তা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো দলের ৫০০ রান করা মানেই, ম্যাচের ফলাফল হয় ড্র নয়তো লঙ্কানদের পরাজয়। চলতি ম্যাচের আগে ৫২ বার প্রতিপক্ষকে ৫০০ রান করতে দেখেছে লঙ্কানরা। যেখানে তারা হেরেছে ২৯ ম্যাচে, ড্র হয়েছে বাকি ২৩ ম্যাচ।
আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৩তমবারের ৫০০ রান করল কোনো দেশ। ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বিবেচনায় ড্র-ই হতে পারে সম্ভাব্য ফলাফল। তবে দারুণ বোলিং করতে পারলে হয়তো ম্যাচ জিতেও নিতে পারে সফরকারী বাংলাদেশ। অবশ্য প্রথম শেষভাগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উইকেটবঞ্চিতই রেখেছে স্বাগতিকরা।
প্রথম সেশনের ৩৫ মিনিট বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। পরিকল্পনা ছিল মধ্যাহ্ন বিরতির আগে অন্তত ১-২টি উইকেট তুলে নেয়া। সে লক্ষ্যে বিরতির আগে মাত্র ৮ ওভারেই চারজন বোলার ব্যবহার করেছেন মুমিনুল। কিন্তু মেলেনি সফলতা। দিমুথ করুনারাত্নে ২৫ বলে ৫ ও লাহিরু থিরিমান্নে ২৪ বলে ৫ রান নিয়ে বিরতিতে গেছেন।
এদিকে আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে ৫২০ রানের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তবে এর চেয়ে আরও ২১ রান বেশি করল টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বোলার-ফিল্ডারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে ১৭৩ ওভারে ৭ উইকেটের ৫৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।