নেদারল্যান্ডসকে পেয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে যেন নিজেদের ‘টি-টোয়েন্টি’ ব্যাটিংটা ঝালাই করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়ে তারা সংগ্রহ করেছিল ৪৯৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩৫ রান টপকে গেছে মাত্র ৩৬ ওভারে।
বুধবার (২২ জুন) ছিল সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচেও রীতিমত তাণ্ডব বইয়ে দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটররা। বিশেষ করে জেসন রয় এবং জস বাটলার। এই দু’জনের ব্যাটিং তাণ্ডবে রীতিমত উড়ে গেলো নেদারল্যান্ডস।
আমস্টলভিনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়েছিল ২৪৪ রানে। জবাব দিতে নেমে ফিল সল্ট আর ডেভিড মালানের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
ফিল সল্ট ৩০ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যান ডেভিড মালান। বাকি কাজ সেরে নেন জেসন রয় আর জস বাটলার।
এই দু’জনই মূলত ঝড় তোলেন ডাচ বোলারদের ওপর। ১৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। জস বাটলার তো সেই আইপিএল থেকেই বিধ্বংসী এক ব্যাটার। আইপিএলে যিনি একাই করেছিলেন ৪টি সেঞ্চুরি। জেসন রয়ও নিজেকে বিধ্বংসীরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনেক আগে থেকে।
৮৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন জেসন রয়। ১৫টি বাউন্ডারির মার ছিল তার ইনিংসে। কোনো ছক্কা নেই। ৬৪ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩০.১ ওভার খেলেই ২৪৪ রানের চ্যালেঞ্জ টপকে যায় ইংলিশরা। যদি ৫০ ওভার খেলার সুযোগ পেতো, তাহলে কী অবস্থা হতো তাদের? কোথায় গিয়ে থামতেন?
১০১ রানে অপরাজিত থাকার পুরস্কার পেয়েছেন জেসন রয়। হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ৮৬ রানে অপরাজিত থাকা জস বাটলার জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।