স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে সাবিনারা। আগামীকাল নেপালের বিপক্ষে সাফের শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী দল। দোর্দণ্ড প্রতাপে ফাইনালে ওঠা সাবিনাদের সামনে কাল শেষ বাঁধা পেরিয়ে সাফের মুকুট মাথায় নেওয়ার হাতছানি। ফাইনালে উঠে দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও জানালেন লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটায় নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে শক্তিশালী বাংলাদেশ।
ফাইনালের মহারণের আগে আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, বাংলাদেশ সাফ ফুটবল শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘দল (বাংলাদেশ) ফাইনালের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে ফিট। নেপাল খুবই শক্তিশালী দল। ফিজিক্যালি ও ট্যাকটিক্যালি উভয় দিক থেকেই। তবে আমদেরও শেষ চারটি ম্যাচ মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। তারপরও আমরা গত চার ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছি। মেয়েরা ভাল খেলেছে। আপাতত কোনো প্রেসার নেই।’
ছোটন বলেন, ‘আমরা মানসিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মেয়েরা লড়তে প্রস্তুত। গোলরক্ষকসহ রক্ষণের দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা ভাল করছে। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো। নেপাল ভাল ফুটবল খেলে। আশা করি ১৫ হাজার দর্শক আসবে ফাইনালে। স্বাগতিক ক্রাউডের সামনে খেলা কিছুটা কঠিন। নেপাল এই সুবিধা পাবে। এটাই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। শেষ চার ম্যাচে যে পারফরম্যান্স করেছে মেয়েরা, সেই একই রিদমে খেলার চেষ্টা থাকবে ফাইনালেও।’
বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। আমাদেরও সাবিনা, মাসুরার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নেপাল অবশ্যই শক্তিশালী দল। তবে সাবিত্রা থাকা না থাকা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। অন্যরাও ভাল খেলে।’
ছোটন আরও বলেন, ‘এবার নেপালের বিপক্ষে জয়ের ব্যপারে আমরা আশাবাদী। বিগত দিনে তাদের বিপক্ষে জিততে পারিনি। তবে বিগত দিনে কি হয়েছে, না হয়েছে তা নিয়ে ভাবছি না। কাল মেয়েরা ভাল ফুটবল খেলতে চাই। ভারতের সঙ্গে কখনো জিতিনি। এবার তা হয়েছে। কাল আরেকটি দিন। অন্য দিন। যদি মেয়েরা ভালভাবে খেলতে পারে, তাহলে নতুন একটা কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবে। ইতিহাস সৃষ্টি করতে চেষ্টা করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তবে জয় আটকে রাখতে পারেনি। কাল আমাদের ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে দলের মেয়েরা। ক্রাউড, শাউট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।উজবেকিস্তানে আমরা এশিয়া কাপের বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম। সেখানকার অভিজ্ঞতা আমাদের কালকের ম্যাচে কাজে দেবে।’