ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। এবার এই আসর আয়োজনের জন্য উন্মুখ হতে দেখা গেল লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে। তিনি চান আইপিএলের আগামী কোনো আসর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হোক।
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের মোট ১৪টি আসর খেলা হয়েছে, যারমধ্যে ৩টি আসর আয়োজিত হয়েছে ভারতের বাইরে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ভারতের বাইরে আয়োজিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্টটি। ভারতের সাধারণ নির্বাচনের সাথে আইপিএল সূচির সংঘর্ষ বেধে যাওয়ায় সেবার দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজন করা হয়েছিল আসরটি। ২০১৪ সালেও নির্বাচনের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গিয়েছিল আইপিএল।
২০২০ সালের আইপিএলও আয়োজন করা হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ভারতে করোনাভাইরাসের মহাপ্রকোপের কারণেই এই আসরটি চলে গিয়েছিল ভারতে। তবে ২০২১ সালে করোনার প্রকোপের মধ্যেও ভারতেই আয়োজিত হচ্ছে চতুর্দশ আসরটি।
আইপিএলের আগামী আসর লন্ডনে আয়োজন করতে মুখিয়ে আছেন লন্ডনের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়র সাদিক। মূলত লন্ডনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই তার এই পরিকল্পনা। তিনি বলেন,
‘ইংল্যান্ডে আয়োজন হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ক্রিকেট বিশ্বকাপে আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম, আইপিএলকেও আমরা সেই স্তরেই দেখি। কোভিডের জন্য আমরা অনেক অর্থ হারিয়েছি, তাই আমাদের আরও সৃজনশীল হতে হবে এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন আপনাকে ভালো রাজস্ব এনে দিতে পারে। এইজন্য আমার মনে হয় আইপিএলই ভালো সিদ্ধান্ত।’
এই শহরের ভালোর জন্য খরচ করতে আমি কখনো কার্পণ্য করব না। লন্ডনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে আমি শুধু মাঠে দর্শকের চাপেরই না বরং এই উপলক্ষে দর্শনার্থীদের লন্ডন ভ্রমণের নিশ্চয়তাও দিতে পারি, যা আমাদের রাজস্ব উপার্জনে বড় ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের শহরের জন্যও সেটি ইতিবাচক হবে।’
সাদিকের মতে লন্ডনবাসী ভারতীয়দের খেলা নিজ শহরে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘মহামারীর পরে লন্ডনকে আবারও ভালো করে সাজাতেই আমার এই পরিকল্পনা। আমি জানি, লন্ডনবাসী বিশ্বের সেরা দুই ক্রিকেট মাঠ লর্ডস ও দ্য কিয়া ওভালে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রিশাভ পান্টদের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে। সত্যিই আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের জন্য লন্ডন উপযুক্ত একটি শহর।’