সৌম্য সরকারকে বাইরে রেখে তিনি এলেন এবং এসে দর্শক বানিয়ে দিলেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেনকেও। নাজমুল যেন উইকেটে থাকলেন আরেক প্রান্তে কেউ থাকতে হয় বলেই। নইলে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরোটাই তো লিটন দাস শো!
ঝড়ের পর বৃষ্টি আসে। লিটন–ঝড়ের পরও সেটাই এলে অ্যাডিলেড ওভালে। আর সেই বৃষ্টিতেই যেন খেই হারাল বাংলাদেশ। প্রায় ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর যখন আবার তা শুরু হলো, নাজমুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দ্বিতীয় বলেই রানআউট লিটন।
লিটন ঝড়ের পর বৃষ্টি ,বৃষ্টির পর হার
বৃষ্টির আগে লিটনের ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংসটা ছিল টি–টোয়েন্টির ব্যাটিং বিনোদনে ভরপুর। কিন্তু ভারতের ১৮৪ রানের জবাব দিতে নেমে ৭ ওভার শেষেই ওই বৃষ্টির ছন্দপতন। ২১ বলে ফিফটি করে লিটন দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ৬৬ রানে। সাত বাউন্ডারির সঙ্গে তিনটি দুর্দান্ত ছক্কা, নিজে অপরাজিত ছিলেন মাত্র ২৬ বলে ৫৯ করে। নাজমুলের ছিল ১৬ বলে ৭ রান।
আবার দলটা ভারত বলেই ইনিংসের যেকোনো সময় ‘পাওয়ার–প্লে’র আমেজ নিয়ে আসা যায়, শুধু এক–দুইটা মোক্ষম ওভার পেতে হবে। নবম ওভারে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম সেই সুযোগটাই দিয়ে দিলেন রোহিত শর্মার দলকে।
৮ ওভার শেষেও ভারতের রান ছিল ১ উইকেটে ৫২। ৯ ওভার শেষে ওই ১ উইকেটেই ৭৬! নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে শরীফুল দিয়ে দিলেন ২৪ রান।