লুসাইল স্টেডিয়ামে সাদা-নীল জার্সিধারীদের দেখার মতো জনস্রোত। সবাই চরম উৎকণ্ঠায়। সবাই চাইছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ুক। মেক্সিকোর বিপক্ষে লিওনেল মেসির নেতৃতে পুরো দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাক। দোহাতে শুরু থেকে খেলছেন ৭ বারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা।
এদিন মঠে নেমে ৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী প্রয়াত দিয়েগো ম্যারাডোনাকে স্পর্শ করেছেন মেসি। তার করা একটি রেকর্ডে যে ভাগ বসিয়েছেন। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১টি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এককভাবে ছিল ম্যারাডোনার। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ম্যাচগুলো খেলেছেন।
আর তার উত্তরসূরি হিসেবে এবার মেসি মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে নেমেই ম্যারাডোনাকে ছুঁয়েছেন। এখন থেকে বিশ্বকাপে ও ম্যারাডোনা প্রসঙ্গ আসলেই অন্তত এই একটি জায়গাতে একইসঙ্গে মেসির নামও উচ্চারিত হবে।
তবে ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মোক্ষম সুযোগও আছে। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা করে নিতে পারলেই এককভাবে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি নিজের করে নিবেন পিএসজি তারকা।
আর বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা জার্মানির লোথার ম্যাথিউসকে ছুঁতে হলে মেসিকে পাড়ি দিতে ‘দুর্গম পথ’। সেক্ষেত্রে আর্জেন্টিনাকে যেতে হবে বলতে গেলে ফাইনালে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড জার্মানির লোথার ম্যাথিউসের। আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠলে এবং মেসি এই পথে দলের হয়ে সব ম্যাচ খেললে ম্যাথিউসকে টপকে রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন। তবে ফাইনালে যেতে না পারলেও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ থাকবে।
তবে নিশ্চিতভাবেই এসব নিয়ে ভাবছেন না মেসিরা। পুরো দলের মনোযোগ ম্যাচের দিকে। যে করেই হোক নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে হবে। নাহলে রেকর্ড বা পরিসংখ্যান বৃথা। নিশ্চয়ই মেসি তা চাইবেন না!