আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড দ্বৈরথে দর্শকের চোখ ছিল লিওনেল মেসি ও রবার্ট লেভানদোভস্কির ওপর। দুই সেরার লড়াইয়ে পোলিশ স্ট্রাইকার ব্যর্থ হয়েছেন, জয় পেয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সে ম্যাচের একটি ঘটনা ফলাও করে প্রচার হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লেভানদোভস্কির সঙ্গে হাত মেলাননি মেসি। কিন্তু কেন?
বুধবার পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ম্যাচের ৯০তম মিনিটের ঘটনা। বল দখলের লড়াইয়ে মেসিকে ফাউল করেন লেভানদোভস্কি। এরপর মেসির দিকে হাত বাড়িয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার। তবে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকা মেসি হাত মেলাননি বার্সা তারকার সঙ্গে! এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
অনেকে দুই তারকার মধ্যে সম্পর্কের টানা পোড়েনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। কোনোদিন এক ক্লাবে না খেলা মেসি-লেভানদোভস্কির মধ্যে দুঃসম্পর্ক থাকবে কেন? বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যাক। ২০২১ সালে রেকর্ড সপ্তম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতেন লিওনেল মেসি।
এরপর আর্জেন্টাইন জাদুকর বলেন, ২০২০ সালে করোনায় বাতিল হয়ে যাওয়া বর্ষসেরার পুরস্কারটি রবার্ট লেভানদোভস্কির প্রাপ্য ছিল। পোলিশ স্ট্রাইকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও ২০২২ সালে ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ডে লেভানদোভস্কিকে ভোট দেননি মেসি। পিএসজি তারকার তিনটি ভোট পান নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমা।
এরপর ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করে, মেসির ভোট না পাওয়ায় হতাশ লেভানদোভস্কি। পোলিশ স্ট্রাইকারের বক্তব্যও প্রকাশ পায়, ‘তার (মেসি) ওই কথাগুলো (ব্যালন ডি’অর জেতার পর) ছিল সুন্দর। কিন্তু এখন (দ্য বেস্ট নির্বাচনে) তার পছন্দের ব্যাপারে বলতে গেলে, তাকেই প্রশ্ন করা উচিত। আমি কোনো ভুল করিনি যা তাকে আমার ব্যাপার রাগান্বিত করতে পারে।’ সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বকাপের প্রাক্কালে এক সাংবাদিক লেভানদোভস্কিকে প্রশ্ন করেন, ‘গ্রুপপর্বের ম্যাচে আপনি লিওনেল মেসির সঙ্গে হাত মেলাবেন?’ এমন প্রশ্নে চটে যান লেভানদোভস্কি। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন লেভানদোভস্কি, ‘কেন? কেনো হাত মেলাবো না আমরা? যখন মেসি এবং আমার মধ্যে সব ঠিকঠাক? তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, কখনোই ছিল না। তাহলে কেনো?’
তবে বুধবার রাতে মেসির হাত না মেলানোর ঘটনায় কি দুই তারকার সম্পর্কটা আরো খারাপ হলো? তা কিন্তু নয়। ম্যাচে লেভা যখন হাত বাড়ালেন মেসিকে কিছুটা অন্যমনস্ক মনে হচ্ছিল। তাছাড়া ম্যাচের পরও দুই তারকার ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। শেষ বাঁশি বাজার পর বেশ কিছুক্ষণ মেসি ও লেভানদোভস্কিকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।