বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডমিনেটরসকে ২০২ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় ১৭ রানে ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন মোহাম্মদ হারিস। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর শুরু ধাক্কা সামলে নেন নাজমুল শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। দু’জনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান তোলেন।
নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন নাজমুল শান্ত। তবে দলীয় ১০৫ রানে ৩৯ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল শান্ত। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জাকির হাসান। তবে দ্রুতই আউট হয়ে যান জাকির। দলীয় ১৩২ রানে ৮ বলে ১০ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তবে অন্যদিকে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তাওহিদ হৃদয়।
এরমাঝে ক্রিজে এসেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১৩৯ রানে ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন মুশফিক। মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। ক্রিজে এসে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন পেরেরা। তবে, তাকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১৬০ রানে ৭ বলে ১১ রান করে ফিরে যান পেরেরা।
এরপর ক্রিজে এসেই মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ইমাদ ওয়াসিম। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন আকবর আলি। তবে শেষ দিকে আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দ্বিতীয় বলে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। দলীয় ১৯৪ রানে ৪৬ বলে ৮৪ রান করেন হৃদয়। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাশরাফি। দলীয় ২০০ রানে রান আউট হন আকবর আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের বড় পুঁজি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মাশরাফি ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকা ডমিনেটরসের পক্ষে আল আমিন ৩টি ও তাসকিন নেন ২টি উইকেট।