শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগ’ থেকে এখনও নাম প্রত্যাহার করে না নেওয়া তিন শীর্ষ ক্লাব-রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। ফিফা ও উয়েফার চাপের মুখে ‘বিদ্রোহী’ টুর্নামেন্টটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ৯টি ক্লাব। কিন্তু এখনও অনড় রয়েছে এই তিন জায়ান্ট ক্লাব।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন জানিয়েছেন, সুপার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া ৯ ক্লাব ভবিষ্যতে ইউরোপিয়ান ফুটবলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে। তবে অবশিষ্ট তিন ক্লাবকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।কারণ প্রস্তাবিত ওই ‘সুপার লিগ’ থেকে সরে আসার আহ্বান প্রত্যাখান করা ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সবরকম অধিকার উয়েফার আছে।
উয়েফা সভাপতির এমন হুমকির পর সুপার লিগে রয়ে যাওয়া তিন ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে সুপার লিগের প্রথম চেয়ারম্যান ও রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেস জানিয়েছেন, ৯ ক্লাব সরে গেলেও তার ক্লাব আগের অবস্থানেই থাকবে। এ বিষয়ে পেরেসের যুক্তি, সুপার লিগ চালু হলে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর আয় বাড়বে এবং তাতে ফুটবলের উন্নতি হবে।
তবে উয়েফা ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে, প্রস্তাবিত এই লিগ কেবলমাত্র অভিজাত ক্লাবগুলোর শক্তি ও সম্পদ বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশে তৈরি। এর কাঠামোটি ইউরোপিয়ান ফুটবলের দীর্ঘস্থায়ী মডেল বিরুদ্ধ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সুপার লিগ চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব এতে যোগ দেয়। এ খবরে ফুঁসে উঠে ইউরোপীয় ফুটবল ফেডারেশন উয়েফা। ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে।
ফিফা ও উয়েফা দেয় কঠোর শাস্তির হুমকি ও প্রবল চাপের মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইংল্যান্ডের ৬ ক্লাব সরে দাঁড়ায়। ক্লাবগুলো হলো-ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহ্যাম হটস্পার, আর্সেনাল। নাম প্রত্যাহার করে নেয় ইন্টার মিলান ও আতলেতিকো মাদ্রিদ। পরে ইতালির এসি মিলানও সুপার লিগে অংশ নেবে না বলে জানায়। তবে এখনও উয়েফার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে বার্সা, রিয়াল ও জুভেন্টাস।