কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ২৭ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।
তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।
কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দ্বিতীয় পর্বে থাকছে স্টেডিয়াম ৯৭৪ নিয়ে বিস্তারিত।
স্টেডিয়াম ৯৭৪, রাস-আবু-আবাউদ:
৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার সেই স্টেডিয়াম বিশ্বের প্রথম কোনো স্টেডিয়াম যেটি তৈরিই করা হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ১০ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত উপকূলীয় শহর রাস-আবু-আবাউদে নির্মিত এই বিশেষ স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপের আসর শেষেই।
বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচসহ এই স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৭টি ম্যাচ।
উদ্বোধনের আগেই অবশ্য অন্য একটি ইতিহাস লিখে ফেলে এই স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে এই স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছে শিপিং কন্টেইনার দিয়ে।
বিশ্বে যা কিছুই তৈরি হোক না কেনো তার স্থায়িত্ব আরত টেকসই হওয়া নিয়েই আলোচনা থাকে সবসময়। অথচ বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ উপলক্ষ্যে নির্মিত এই স্টেডিয়াম ৯৭৪ তৈরির আগেই আলোচনায় আসে বিনাশের দিন তারিখ নিয়ে। মরুর বুকে রঙ বেরঙয়ের আলো ছড়িয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে যে স্টেডিয়াম, তা যে ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপের পরই।
এই স্টেডিয়ামের নামে যে ‘৯৭৪’ সংখ্যাটা রয়েছে সেটি আসলে কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড। নামের পেছনে রহস্য রয়েছে আরো একটি, স্টেডিয়ামটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ঠিক ঠিক ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার, এই সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করতেই নামের সঙ্গেই সেটি জুড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্টেডিয়াম ৯৭৪’এ রাখা হয়েছে প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। এজন্য অন্য মরুর বুকের অসহনীয় তাপমাত্রাতেও অন্য স্টেডিয়ামগুলোর মতো এখানে প্রয়োজন হবে না কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তিরও।