লিগ কাপের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ২-০ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এন্থনি মার্শাল ও ফ্রেডের দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে জয় নিশ্চিত ইউনাইটেড।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সেমিফাইনালে ম্যাচ শেষের ১৭ মিনিটে দুই গোলে দিয়েছে এরিক টেন হাগের দল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলির ফাইনালে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ নিউক্যাসল। দায়িত্বের প্রথম মেয়াদে শিরোপা খরা কাটানোর থেকে মাত্র এক ম্যাচ দুরে রয়েছেন টেন হাগ। এই ডাচম্যান ম্যাচ শেষে বলেন, ‘শিরোপা জয়ই এখন ওল্ড ট্রাফোর্ডের সবচেয়ে বড় দাবী। আমি মনে করি আমাদের দলটি অনেক ভাল। সে কারণেই আমাদের মান ধরে রাখতে হবে। প্রতিটি ম্যাচেই যেন প্রত্যাশানুযায়ী আমরা খেলতে পারি তার চেষ্টা করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একজন ইউনাইটেড খেলোয়াড় হিসেবে সেই স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে হবে।’
প্রথম লেগে সিটি গ্রাউন্ডে রেড ডেভিলসরা ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। আরও চারটি প্রতিযোগিতায় ইউনাইটেড এখনো টিকে রয়েছে। যে কারণে টেন হাগ দলের প্রায় প্রতিটি সদস্যকেই খেলানোর চেষ্টা করছেন। শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে রিডিংয়ের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটি থেকে ছয়টি পরিবর্তন করে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন ইউনাইটেড বস। অন্যান্যদের সঙ্গে বদলী বেঞ্চে ছিলেন ফর্মে থাকা মার্কাস রাশফোর্ড।
বিরতির ঠিক আগে ওট ওয়েগার্স্ট ডেডলক ভাঙ্গার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। ডাচ এই স্ট্রাইকারের হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসে। কিন্তু ঘন্টাখানেক পর টেন হাগ একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন করার পর পরই ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায়। আয়াক্সের সাবেক এই বস গ্রীষ্মে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করার পর জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে সীমিত বাজেট নিয়ে দলবদলে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেননি। ধারে ওয়েগার্স্ট, মার্সেল সাবিটাইজার ও জ্যাক বাটল্যান্ডকে ইউনাইটেড এবার দলে ভিড়িয়েছে। তবে সঠিক সময়ে আক্রমণভাগে জেডন সানচোর অন্তর্ভুক্তিতে ইউনাইটেড ঘুরে দাঁড়ায়। মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় অক্টোবরের পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন ইংলিশ এই স্ট্রাইকার। সানচোর সঙ্গে মাঠে নামেন রাশফোর্ড ও মার্শাল।
টেন হাগ বলেন, ‘এবারের মৌসুমে আমরা এবার অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, আশা করছি সবাইকে এখন একসাথে দলে পাবো। শিরোপা জয় করতে হলে সবাইকে দলে পাওয়াটা জরুরী। আজকের ম্যাচে বদলী বেঞ্চ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ রাশফোর্ডের প্রথম শটটি ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে ৭৩ মিনিটে বল জালে জড়ান মার্শাল। তিন মিনিট পর রাশফোর্ডের অ্যাসিস্টে ফ্রেড ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ফাইনালে উড়তে থাকা নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে ইউনাইটেডকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু তারকা ডিফেন্ডার লুক শ বিশ্বাস করেন টেন হাগের অধীনে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সঠিক পথেই আছে ইউনাইটেড।