শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মূল সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচে রানের দেখা পেলেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক। রোববার দুই দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শূন্য রানেই আউট হয়ে গেছেন তিনি। তবে তাকে আবার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানো হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন শেষে মুমিনুলের সবুজ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৯ রান। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস ২৭ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে গেছেন। বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম আউট হয়েছেন ১৯ রান করে।
পরে রানের খাতা খুলতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল। ব্যর্থ হয়েছে ইয়াসির আলি রাব্বিও। ডানহাতি এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন ১৫ রান। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ ও শুভাগত হোম ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। বল হাতে দুই উইকেট শিকার মেহেদি হাসান মিরাজের।
এদিকে মুমিনুল শূন্য রানে আউট হলেও তাকে আবার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। এই ম্যাচ দেখেই ২১ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডকে নামিয়ে আনা হবে ১৬ জনে এবং বাদ পড়া পাঁচজনকেও দলের সঙ্গে রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নান্নু।
এর আগে তামিম ইকবালের লাল দল প্রথম দিন শেষ করে ১ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম, সাইফ, শান্ত আর মুশফিক। তামিম ৬৩, সাইফ ৫২, শান্ত ৫৩ আর মুশফিক ৬৬ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান।
হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে নুরুল হাসান সোহানও অবসরে যান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান করেন ৪৮ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ২ রান করে আউট হন তাইজুল ইসলাম। শুভাগত হোমকে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন লোয়ার অর্ডারের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
কাটুনায়াকের চিলাও মারিয়ানস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে দুইদিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচের পর ২১ জন থেকে ১৬ জনে নামিয়ে আনা হবে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড। পরে দুইদিন অনুশীলন শেষে আগামী ২১ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়া ৫ জনও থাকবেন দলের সঙ্গেই।
প্রস্তুতি ম্যাচের দুই দল
লাল দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীম, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং একজন সাপোর্ট স্টাফ
সবুজ দল: সাদমান ইসলাম অনিক, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক সৌরভ, মোহাম্মদ মিঠুন, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, শুভাগত হোম, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।