টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। স্ট্রাইকে মুজারাবানি। বল হাতে বাংলাদেশের মোসাদ্দেক সৈকত। বলে করলেন মোসাদ্দেক। উইকেট ছেড়ে বাইরে এসে খেলতে গেলেন মুজারাবানি। বলের ফ্লাইট মিস করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দিলেন নূরুল হাসান সোহান। আনন্দে মেতে ওঠে পুরো বাংলাদেশ দল। জয় নিয়ে বাংলাদেশ আর ৪ রানের হারে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে দল।
কিন্তু এখানেই শেষ না নাটক এখনও বাকী। স্ট্যাম্পের আগেই বলে ধরে স্ট্যাম্প ভেঙ্গেছে সোহান। আর তাই নো বল হয়। আবারও মাঠে নামে দু’দল। ফ্রি হিট পায় জিম্বাবুয়ে। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন হয় ৪ রান। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলো এই বুঝি ফসকে গেলো ম্যাচ। তবে, শেষ বলে ডট দেয় মোসাদ্দেক। আর এইবার সত্যি সত্যিই স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
এতো গেলো শেষ বলে নাটক পুরো শেষ ওভারটাই ছিলো নাটকীয়তায় ভরপুর। শেষ ওভারের জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। শেষ ওভারের অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকের ওপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওভারের প্রথম বলে লেগ বাইয়ে ১ রান পায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় বলে এভান্সকে আউট করেন মোসাদ্দেক। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ওভারের তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে জমা হয় চার রান। ফলে ৩ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার হয় ১১ রানের।
এসময় ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন নাগারাভা। শেষ ২ বলে প্রয়োজন হয় ৫ রানের। এরপর পঞ্চম বলে মোসাদ্দেককে উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন নাগারভা। আর এরপরে শেষ বলের নাটক যেন আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে যায়। অনেক নাটকীয়তা শেষে ৩ রানের জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকলো সাকিব আল হাসানের দল।