Image default
খেলা

শ্রীলঙ্কায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফল আনার জেদ মুমিনুলের

কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে মুমিনুল হক বলেছিলেন- শ্রীলঙ্কা সফরে শেখার পাঠ থামাতে চান। এই সিরিজ থেকেই জয়ের অভ্যাস করতে চান তারা। বাংলাদেশ অধিনায়কের কথায়- শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভিন্ন যাত্রা শুরু। কিন্তু বাস্তবে মুমিনুল হকের স্বপ্ন কতটুকু সত্যি হয় সেটাই প্রশ্ন। দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে আজ বেলা ১২টায় চার্টার্ড বিমানে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল জানালেন, এই সিরিজ হবে চ্যালেঞ্জিং, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তালিকায় সবার নিচে বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচের কোনোটিতেই জয় নেই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এই সিরিজটি চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। ইতিবাচক কিছু না পেলে চক্রটি শূন্য হাতেই শেষ করতে হবে বাংলাদেশকে। তাই এবারের লঙ্কা সফরে নিজেদের উন্নতি দেখানোর চ্যালেঞ্জ মুমিনুলদের। টেস্টে সবশেষ ৮ ম্যাচে জয় নেই। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও উইন্ডিজের কাছে হার। নেতৃত্ব পাওয়ার পর ভারত সিরিজ থেকেই হারছেন মুমিনুল। জয় একটি পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাদা পোশাকে নিজেদের অবস্থা যে ভালো নয় তা অধিনায়ক নিজেই মানেন। এই পরিস্থিতি বদলাতে পারে কেবল শ্রীলঙ্কায় এই সিরিজে উন্নত পারফরম দিয়ে। মুমিনুল বললেন, ‘শ্রীলঙ্কা কিন্তু নিজেদের মাঠে বেশ ভালো দল। আমাদের জন্য এই সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে। সহজ হবে না। কিন্তু আমাদের এই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এবং ভালো ফল আনতে হবে। আমার মনে হয় এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে। কারণ দুই দলেই ভালো পেসার আছে। ব্যাটিংও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

এই সিরিজে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান নেই। কিন্তু দুই তারকার অনুপস্থিতি ভাবাচ্ছে না মুমিনুলকে। তবে বাকিদের থেকে সেরাটা বের করতেই মনোযোগ তার, ‘সাকিব ভাই বা মোস্তাফিজ না থাকলেও আমরা ম্যাচের ফল বের করতে পারব না এমনটা আমি ভাবছি না। সত্যি তারা ভালো ক্রিকেটার কিন্তু তাদের তো আর ১০-১২টা হাত নেই যে সব করবে। আমাদের ভালো ফল না পাওয়ার কারণ আমরা ভালো খেলতে পারছি না, এক দল হয়ে খেলতে পারছি না।’

শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে কলম্বোর অদূরে নেগোম্বোতে হোটেল রুমে কোয়ারেন্টাইনে থাকবে বাংলাদেশ। তিনদিন পর ১৫-১৬ এপ্রিল কোয়ারেন্টাইনে থেকেই অনুশীলন করার সুযোগ পাবে। এরপর কুতুনায়েকে-তে ১৭-১৮ এপ্রিল নিজেদের মধ্যে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মুমিনুলরা। এরপরই মূল দল নির্বাচন হবে। ১৯-২০ এপ্রিল পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। ২১ এপ্রিল থেকে একই মাঠে শুরু প্রথম টেস্ট। প্রস্তুতি ম্যাচের পর দল নির্বাচন করা কতটা কঠিন হবে- প্রশ্নের উত্তর মুমিনুল দিলেন ভিন্নভাবে, ‘আসলে সেরা একাদশ বা দল গড়া নির্ভর করে ক্রিকেটাররা কেমন খেলছে তার ওপর। যখন আপনি ভালো ফল পাবেন তখন একাদশ সাজানো কঠিন হবে। কারণ এক জায়গায় একাধিক পারফরমার তৈরি থাকবে। কিন্তু দল ভালো না করলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একেকজনকে খেলাতে পারেন। এবার আমাদের অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে। তারা সবাই দলের জন্য কিছু করতে চায়। আমি বিশ্বাস করি ওরা তৈরি কিন্তু অভিজ্ঞদের সমর্থন প্রয়োজন।’

শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে জাতীয় লিগে খেলাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মুমিনুল। এর ফলে দলের অনেকেই টেস্টের জন্য প্রস্তুত আছেন এমন বিশ্বাস তার, ‘নিউজিল্যান্ডে যারা যায়নি তারা কিন্তু এনসিএল খেলেছে। ছোট ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটারদের চেয়ে তারা কিন্তু প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকবে। কারণ আমরা দুই রাউন্ডের ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছি।’ সেই দুই ম্যাচে মুমিনুলের নিজের ব্যাট উজ্জ্বল ছিল না। এক ম্যাচে ৬ ও ১৩, আরেক ম্যাচে ১১ ও ১৩ রান করেন কেবল।

নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুটি কঠিন সিরিজ কাটিয়েছেন মুমিনুল। খুব একটা সমালোচনায় পড়তে হয়নি। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ০-২ টেস্টে হারের পর নেতা হিসেবে ব্যর্থ হওয়ার চাপ টের পাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। তবে এই চাপকে ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন মুমিনুল, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে খেললে এমনিতেই চাপ থাকবে। যখন নিজেদের পক্ষে ফল না আসে সেই চাপ বেড়ে যায়। বিষয়টি এমন যে আপনি কীভাবে নিচ্ছেন। অধিনায়ক হিসেবে আমি ধরেই নিয়েছি যে অতিরিক্ত চাপ থাকবে। আমি এটাকে ইতিবাচক চাপ হিসেবেই নিচ্ছি।’

Related posts

সাকিবের আইপিএলে দল না পাওয়া নিয়ে শিশিরের স্ট্যাটাস

News Desk

রিক পিটিনোর ছেলে রিচার্ড লুইসভিলে তার পুরানো কাজের জন্য সামনের দৌড়ে

News Desk

নিকস হিট মোকাবেলা করার জন্য নড়বড়ে মাঠে প্লে অফে ব্যর্থতায় ফিরে আসে

News Desk

Leave a Comment