জীবনের মায়া ত্যাগ করে করে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। ব্রাজিলের এই কিংবদন্তির বিদায় মানতে পারছেন না তার দেশের মানুষই। তাদের কাছে যেন এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তাদের ‘কালোমানিক’ মারা গেছেন।
দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে। শেষমেশ আর পারলেন না। বিশ্বজোড়া ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তি।
ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুতে ব্রাজিলের সরকার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। লাতিন দেশটির সাধারণ জনগণও ক্রিসমাসের ছুটি না কাটিয়েই পেলেকে শেষবারের মতো বিদায় জানাতে ফিরতে শুরু করেছেন সাও পাওলোতে।
পেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন ভক্ত-সমর্থকরা। কিংবদন্তির মৃত্যুতে ব্রাজিলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুর সংবাদ জানার পর থেকেই কেউই আর ছুটি কাটাতে অন্য কোথাও বা দেশের বাইরে না গিয়ে আসছেন সাও পাওলোতে। উদ্দেশ্য নিজেদের রাজাকে শেষবারের জন্য দেখা আর চির বিদায় জানানো।
দেশের এমন এক শোকাহত সময়ে কেউই দেশ ছেড়ে ছুটি কাটাতে বাইরে যাচ্ছেন না। বরং অন্য শহর থেকে সবাই ছুটছে সাও পালোর দিকে।
পেলের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান হবে তার ফুটবলের শুরু ও বেড়ে ওঠার ক্লাব সান্তোসের মাঠেই। সান্তোসের মাঠে পেলের শেষকৃত্য আয়োজন চলবে দুইদিনব্যাপী। ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফুটবল সম্রাটকে ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সান্তোসেরও হোম ভেন্যু সাও পাওলোর ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
সমাহিত করার আগে ৩ জানুয়ারি সান্তোসের রাস্তায় পেলেকে নিয়ে ‘প্যারেড’ হবে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হবে বাড়িতে। তার মা ডোনা সেলেস্তের কাছে। শতবর্ষী পেলের মা এখনও বেঁচে আছেন। তবে শয্যাশয়ী। ছেলেকে শেষবার দেখবেন তিনি।
শেষকৃত্য কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর মরদেহ সমাহিত করা হবে সান্তোসের সিমেট্রি মেমোরিয়াল নেক্রোপোল ইকুমেনিকায়। ফুটবল সম্রাটকে সমাহিত করার সময় শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরাই উপস্থিত থাকবেন সেখানে।