তামিম ইকবাল অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সব জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে অবশেষে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম ঘোষণা করেছেন বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর সাকিব তার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ফিরে পান। এছাড়াও, বিসিবি তিন সংস্করণে একই অধিনায়কের কোর্সে ফিরেছে। সাকিবের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়কত্ব আসে ২০০৯ সালে যখন তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেন।
ওই সফরে ক্যাপ্টেন মোশাররফ বিন মুর্তদা আহত হন। মোশাররফের অনুপস্থিতিতে সাকিব তার প্রথম মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বেই দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে টিম টাইগার। সে সময় যা ছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন।
এরপর ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে ছিলেন না মাশরাফি। বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়া বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো-মন্দ পারফরম্যান্স হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে 58 রানের পর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা মাত্র 78 রানে বোল্ড হয়েছিল। আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের পাশাপাশি পরাক্রমশালী ইংল্যান্ডকেও হারিয়েছে সাকিবের বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজেও অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ায় সাকিবকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিবি।
এরপর 2015 সালে নিয়মিত অধিনায়ক মোশাররফ ইনজুরিতে পড়লে দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। এবং অবশেষে 2017 সালে, তিনি লাহিডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওডিআইতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন।
এখন পর্যন্ত ৫০টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। তার নেতৃত্বে 23টি জয়ের জন্য 26 ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। ম্যাচটি পরিত্যক্ত। সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৪৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে।