২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই শোনা যাচ্ছে পঞ্চপাণ্ডবের শেষের শুরুর নানান কথা। এর মধ্যেই জাতীয় দল থেকে বেশ দূরে সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। অনেকের আশঙ্কা, আগামী বিশ্বকাপে হয়তো বাকি চারজনের সবাইকেও পাওয়া যাবে না।
সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের কেউ যদি না থাকেন, তাহলে দায়িত্ব নিতে হবে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়দের। তাই এখন থেকেই সিনিয়রদের পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দেরও সুযোগ দেয়ার কথা বললেন বাংলাদেশ দলের হেড রাসেল ডোমিঙ্গো।
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এছাড়া দলে অভিজ্ঞদের উপস্থিতি বাড়তি পাওয়া মানেন ডোমিঙ্গো। তবে এর সঙ্গে তরুণদেরও পারফর্ম করার তাগিদ দিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম, সাকিবদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে আমাদের। তবে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তারা তো আজীবন দলে থাকবে না। এছাড়া দলে চোটের সমস্যা থাকতে পারে, কেউ পারফর্ম করতে না পারে। তখন তরুণদের পারফর্ম করতে হবে। আফিফের মত খেলোয়াড়রা এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গত কয়েক সিরিজে বোলিং না করলেও, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অফস্পিন করতে দেখা যেতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তিনি বোলিংয়ে ফেরায় দলে পেসার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব বলে মানছেন ডোমিঙ্গো, ‘অবশ্যই এটা একটা অপশন আছে। রিয়াদও বোলিংয়ে ফিরছে, এটাও বড় পাওয়া। সাকিব দলে ফিরেছে, রিয়াদও বোলিং করতে পারবে, মিরাজ আছে। যা আমাদের স্পিনে অনেক অপশন খুলে দিচ্ছে। তাই তিন সিমার নিয়ে খেলা অবশ্যই সম্ভব।
দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন শুধুমাত্র মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া সৌম্য সরকারের শুরুটা টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে সাত নম্বরে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনাও দেখা গেছে তাকে। আসন্ন সিরিজে কী হবে সৌম্যর ভূমিকা?
এ বিষয়ে ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘দুই দায়িত্ব পালনেই সমান পারদর্শী সৌম্য। নিচের দিকে ব্যাটিংয়ের একটা অপশন হতে পারে সে, তবে টপঅর্ডারেও খেলতে পারে। আজ নির্বাচকদের সঙ্গে বসবো। সৌম্যর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এখনও একাদশ সাজানো হয়নি।