জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক, কোচ হিথ স্ট্রিক। দলের ভেতরের তথ্য ফাঁস করা, অন্যায় ভাবে কোন উপহার/অর্থ গ্রহণ করা, অন্যকে দলের তথ্য ফাঁস করতে প্ররোচিত করার একাধিক ঘটনায় আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের মোট ৫ টি ধারা ভঙ্গ করার দায়ে অভিযুক্ত স্ট্রিক শাস্তি পেয়েছেন। অভিযোগ ও শাস্তি দুইই মেনে নিয়েছেন হিথ স্ট্রিক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি আইসিসি হিথ স্ট্রিকের ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞার রায়ের পূর্নাঙ্গ কপি প্রকাশ করেছে।
যেখানে হিথ স্ট্রিকের কোড অব কন্ডাক্টে ভঙ্গের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে ৫ম পয়েন্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৭ সালের আসরে বুকি হিথ স্ট্রিককে দলের অধিনায়ক, মালিক বা প্লেয়ারদের তথ্য ও কন্ট্যাক্ট দিতে বলেন। হিথ স্ট্রিককে বুকি এটা বলেন যে এসব তথ্য ব্যবহার করে তারা বড় অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারবে যা দিয়ে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করা যাবে।
বুকি স্ট্রিকের কাছে প্লেয়ার বা মালিকদের কন্টাক্ট চান যাতে করে তাদের মাধ্যমে দলের ভেতরের খবর পাওয়া যায়।
সেখানে আরো বলা হয়েছে হিথ স্ট্রিক বিপিএল খেলা তিন ক্রিকেটারের ফোন নাম্বার (একজন আবার জাতীয় দলের অধিনায়ক) বুকিকে দেন।
এবার চোখ দেওয়া যাক সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার সময়ে আইসিসি যে পূর্নাঙ্গ রায়ের কপি প্রকাশ করেছিল সেখানে। এসিইউ (এন্টি করাপশন ইউনিট) এর সঙ্গে সাকিবের সাথে সাক্ষাতের পর এসিইউ যা যা অবজারভেশন দিয়েছিল তার শুরুতেই আসে ২০১৭ সালের বিপিএল প্রসঙ্গ।
যেখানে বলা হয় ২০১৭ সালে সাকিব ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অংশ। যেখানে সাকিবকে জানিয়ে তার কন্টাক্ট বুকি (দিপক আগারওয়াল) কে দিয়েছিলেন তার এক পরিচিত। বুকি সেই ব্যক্তির কাছে
২৯ অক্টোবর, ২০১৯ এপ্রকাশিত এক রায় ও ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিলে প্রকাশিত এক রায়ে একটি পয়েন্টে মিল। ২০১৭ সালের বিপিএল, বুকির সাথে ক্রিকেটারদের যোগাযোগ।
দুইয়ে দুইয়ে যদি চার মেলানো হয় তাহলে সাকিবের সঙ্গে বুকি (দীপক আগারওয়াল) এর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া লোকটির নাম হিথ স্ট্রিক!