ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। করোনারভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে আইপিএল, এবার সবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে করোনাভাইরাসে দিশেহারা ভারত থেকে ফেরা যে সহজ নয়, সেটি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন সাকিব-মুস্তাফিজরা।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শুরু হয় আইপিএলের ১৪তম আসর। বেশ ভালোভাবেই চলছিল হাজার কোটি টাকার এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। তবে টুর্নামেন্টের মাঝপথে করোনা হানা দেয় সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে, আক্রান্ত হন দুই ক্রিকেটার। এরপর চেন্নাই সুপার কিংসের কোচিং স্টাফ, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা করোনা আক্রান্ত হলে বন্ধ ঘোষণা করা হয় আইপিএল।
আইপিএল শেষ হওয়ায় সাকিব-মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চেষ্টা চলছে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে এই দুই ক্রিকেটারকে পাওয়ার জন্য। কিন্তু তাদের ফেরার প্রক্রিয়াটা সহজ নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, আইপিএল খেলতে যাওয়া সকল ক্রিকেটারকে নিরাপদে নিজ নিজ দেশে পৌঁছে দেবে। কিন্তু বিপত্তি তৈরি হয়েছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশসীমা বন্ধ থাকায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সাকিব-মুস্তাফিকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে তারা এখনো জানেন না কবে, কখন, কিভাবে ফিরবে।
তাদেরকে বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি। কিন্তু এই দুই ক্রিকেটার আলাদা ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলায় তাদের একসঙ্গে করাও সহজ কাজ নয়। আকাশপথ বন্ধ থাকায় বিকল্প ভাবনা বোর্ডের, জানা গেছে দেশের যেকোনো স্থলপথ দিয়ে সাকিব-মুস্তাফিজকে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে তারা কবে আসবেন, সে বিষয়ে আছে অনিশ্চয়তা।
ভারত থেকে দেশে ফিরলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সাকিব-মুস্তাফিজকে। তাদের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া কমাতে এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের আবদার নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়েছিল বিসিবি। তবে লাভ হয়নি তাতে।
ডিজিএইচএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করতেই হবে। বিসিবি আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু আমরা তাদের না করে দিয়েছি। আইন অনুযায়ী সকলকেই কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।’
সাকিব-মুস্তাফিজকে এই কোয়ারেন্টাইন করতে হবে সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া হোটেলে। এখানে বিসিবির কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না বলে জানালেন বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী।
দেবাশিষ বলেন, ‘আমরা তাদের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া কমানোর বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সেটি না করে দেওয়া হয়েছে। এখন ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেটি সরকারের নির্ধারণ করা হোটেলে।