বাংলাদেশের স্কোর যখন ১০৯ রান, তখন ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি ১৫৩ বল মোকাবিলায় ৪২ রান করেন। এর পরই শঙ্কা জাগে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জার। বাংলাদেশ যে তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ৫৩ রানে পিছিয়ে। এখন আশার কথা হচ্ছে সেই শঙ্কা আর নেই। অবিশ্বাস্য কিছু করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। দু’জনের দৃঢ়তায় লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে জুটি দাঁড়িয়েছে ১০১ রানে। দলের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান। অর্ধশত পূর্ণ করেছেন সাকিব। ব্যাট করছেন ৫৩ রানে। অপরপ্রান্তে সোহান ৪৯ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৮ রানে।
এই টেস্টে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটা সময়ই বলে দেবে। অবিশ্বাস্য কিছু করতে হলে লিড কমপক্ষে দেড় শতাধিক হতে হবে। অর্থাৎ আরও শতাধিক রান। কিন্তু শেষ ব্যাটার এই দুই জনই। ড্রেসিং রুমে থাকা বাকি তিন জনই বোলার। তাই এখন বড় কিছু করতে হলে সাকিব ও সোহানকেই দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে আজ দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান শান্ত। আরও একবার বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন তিনি। ক্রিজে সেট হয়েও টিকতে পারলেন না। ৪৫ বল মোকাবিলায় ১৭ রান করে ফিরে গেছেন। কাইল মায়ার্সের বলে ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। অফফর্ম বজায় রেখেছেন মুমিনুল হকও। তিনি ১২ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। বোলার কাইল মায়ার্স। রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
এরপর লিটন দাসকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জয়। সেটাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কেমার রোচের একটি বল কাট করতে গিয়ে গালিতে দাঁড়ানো কাইল মায়ার্সের হাতে তালুবন্দী হন লিটন। সমাপ্তি হয় ১৫ বলে ১৭ রানের ইনিংসের। জয়কে বেশ ধৈর্য্যশীল মনে হচ্ছিল। খেলছিলেন দেখেশুনে। আরও একটি বড় ইনিংস খেলার পথেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন তরুণ এই ওপেনার। কেমার রোচের বলে উইকেটকিপারের হাতে কটবিহাইন্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৫৩ বলে ৪২ রান।