অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ কৌশলে মেসিসহ গোটা আর্জেন্টাইন আক্রমণভাগ অনেকটাই স্থবির। তখন পর্যন্ত বড় কোনো সুযোগও আসছিল না আর্জেন্টিনার সামনে।ম্যাচের তখন ৩৫ মিনিট চলছে। ঠিক তখনই কঠিন দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
নিখুঁত শটে সামনে দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে বল জালে পাঠান এই পিএসজি তারকা। এর পরের গোলটা অবশ্য আর্জেন্টিনা পেয়েছে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের ভুলে। গোল করেন হুলিয়ান আলভারেজ। শেষ দিকে আর্জেন্টিনার বিপদ হলেও হতে পারত। যদিও গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ও ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজের নৈপুণ্যে তা আর হয়নি।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠতে পেরে অধিনায়ক লিওনেল মেসির কণ্ঠে উচ্ছ্বাস। তবে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মনে করিয়ে দিয়েছেন, সামনের পথটা আরও কঠিন।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, খেলাটাকে আগেই শেষ করে দিতে পারতাম। তারা একটা গোল পেয়ে গিয়েছিল, যেটা হতেই পারে। শেষ দিকে আক্রমণ করা শুরু করেছিল। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই জয়ে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে গেলাম। এখন আরেকটি কঠিন ম্যাচ আসছে।’
প্রথম রাউন্ড শেষে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে মাত্র দুই দিন হাতে পেয়েছে আর্জেন্টিনা। কোচ লিওনেল স্কালোনি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন এই সূচি নিয়ে। তিনি প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের দুই দিনের মাথায় শেষ ষোলোর নকআউট ম্যাচ আয়োজনকে বলছিলেন ‘পাগলামি’।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শেষে মেসির মুখেও বিশ্রাম না পাওয়ার আক্ষেপের কথা শোনা গেছে, ‘এই ম্যাচটা কঠিন ছিল, কঠিন একটি দিন শেষ হলো। (গ্রুপের শেষ ম্যাচের পর) বিশ্রামের জন্য আমরা খুব কম সময় পেয়েছি। আমরা ক্লান্ত ছিলাম। শারীরিকভাবে খুব চ্যালেঞ্জের ম্যাচ ছিল এটি।’
আগামী শুক্রবার শেষ আটের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে লিওনেল স্কালোনির দল।