করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সবকিছু বিপর্যয়ের মুখে। রুদ্ধদ্বার এমন অবস্থায় পরপর দুদিন দুটো সুসংবাদ আসলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ দল। এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি টাইগারদের। আজ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের বোলিং বিভাগে দ্বিতীয় সেরা বোলার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এমন অর্জনে প্রশংসা বন্যায় ভাসছেন তরুণ এই অফ স্পিনার। এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, ‘সবাই অনেক সাপোর্ট করছে। টিমমেটরা সবাই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমার নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগছে যে, আমার টিমমেটরা সবাই আমাকে সাপোর্ট করছে। এটা আসলে আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় বাংলাদেশ দলের জয়ের মঞ্চে অনেকবারই নায়কের ভূমিকায় দেখা গেছে মিরাজকে। তবে সাফল্যর কৃতিত্ব কখনোই একা নেননি তিনি। ভাগ করে নিয়েছেন সতীর্থ, কোচ ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর বোলার হয়েও তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের অবদান ভোলেননি তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘আমরা জুনিয়ররা সবসময় সিনিয়রদের কথাই বলি। একটা সময় আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের আইডল মনে করতাম। এখন কিন্তু ওয়ার্ল্ড ক্লাস খেলোয়াড় আমাদের চোখের সামনেই আছে, আমরা একসঙ্গেই খেলছি। আমরা তাদের কাছ থেকে দেখে শিখতে পারি। আমরা লাস্ট দুইটা ম্যাচ ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। সেখানে কিন্তু আমাদের শেখার অনেক কিছু ছিল।
যোগ করেন মিরাজ, ‘মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই যে পার্টনারশিপ দিয়েছে, লাস্ট ম্যাচটায় মুশফিক ভাই যেভাবে খেলেছে- শুধু এ দুইটা ম্যাচ নয় বিগত ম্যাচগুলোতে যেভাবে খেলেছেন। ওয়ার্ল্ডকাপে সাকিব ভাই ব্যাটিং-বোলিং দুইটাতেই যেভাবে পারফর্ম করেছেন, তামিম ভাই ওপেনারদের মধ্যে হায়েস্ট রানের দিকে আছেন, ১৪ হাজারের বেশি রান করেছেন- এটাও কিন্তু অনেক বড় অর্জন। তাদেরকে দেখেই শিখতে পারি।’
টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককেও উদাহরণ হিসেবে আনেন মিরাজ। তার অর্জন, একাগ্রতা আর পারফরম্যান্স সামনে আনেন মিরাজ। নিজের পাশাপাশি দলের বাকি তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতি মিরাজের আহ্বান, সিনিয়রদের পথচলা অনুসরণ করার।
মিরাজ বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাদের চোখের সামনেই আছে, তারা কীভাবে কাজ করে, ফোকাস থাকে এসব জিনিসগুলো যত তাড়াতাড়ি আমরা শিখতে পারব, তত তাড়াতাড়ি একটা ভালো টিম হতে পারব এবং আমরা আরও ভালো ক্রিকেটার হতে পারব।