পুরনো বল এবং নতুন বলে সমান পারদর্শী। এই মুহূর্তে এমন ফাস্ট বোলারের কথা উঠলে ভারতীয় ক্রিকেটে যে নামটা সবার প্রথমে চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হল জসপ্রীত বুমরাহ। দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ উইকেটের মালিক, হরভজন সিং এবং ইরফান পাঠানের পর দেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট হ্যাটট্রিক। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নজিরের সঙ্গে নাম জুড়ে গিয়েছে গুজরাত পেসারের। তবে শুধু টেস্ট ক্রিকেটই নয় সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটেও সমান কার্যকারী তিনি।
কিন্তু তিন ফর্ম্যাটেই সমান কার্যকারী এমন বোলারের তালিকায় বুমরাহর চেয়েও দক্ষ বোলার রয়েছে ভারতের মাটিতে। তেমনই খোঁজ দিলেন প্রাক্তন তারকা পেসার আশিস নেহরা। তিনি আর কেউ নন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ। গত আইপিএলে চমকপ্রদ উত্থানের পর জাতীয় দলে আত্মপ্রকাশেও সাড়া জাগিয়েছেন কোহলির দলের এই পেসার। আবার ২০২১ আইপিএলেও সমানতালে পারফর্ম করে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের এই ফাস্ট বোলার। সব দেখেশুনে সিরাজকে বুমরাহর চেয়েও দক্ষ বলে মনে করছেন নেহরা।
ক্রিকবাজকে নেহরা জানিয়েছেন, ‘গত তিন-চার বছর ধরে দক্ষ বোলারের কথা উঠলেই সকলে জসপ্রীত বুমরাহর নাম বলে। তবে এই মুহূর্তে আমার মনে হয় সিরাজ খুব একটা পিছিয়ে নেই। সবক’টি ফর্ম্যাটে ও বুমরাহর সমগোত্রীয়।’ নেহরা বলেন, ‘বছর দু’য়েক আগে লাল বলের ক্রিকেটে ভারতীয়-‘এ’ দলের হয়ে প্রত্যেক ম্যাচে ৫-৬টা উইকেট নিত ও (সিরাজ)। আর আমি মনে করি একজন বোলার যে লাল বলে ভালো বল করে তাঁর সাদা বলেও সফল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।’
অর্থাৎ, বুমরাহর মতোই ক্রিকেটের তিনটি ফর্ম্যাটে সিরাজকে সমান কার্যকারী বোলার হিসেবে দাবি করেছেন নেহরা। এমনকি স্কিলের দিক থেকে ২৭ বছর বয়সী সিরাজ কিয়দংশে বুমরাহর চেয়েও এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করেন প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার। তাই সিরাজকে ফিটনেস এবং খেলার প্রতি মনোসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন নেহরা। প্রাক্তন তারকা পেসারের দাবি এই দু’টো জিনিস ঠিক থাকলে একজন পেসার সবকিছু হাসিল করতে সক্ষম।
নেহরার মতে, ‘সিরাজের স্লোয়ার বল করার আলাদা কায়দা রয়েছে। ওঁর গতির খামতি নেই। নতুন বলে দারুণ সুইং করতে পারে। ওঁর উচিৎ ফিটনেস ধরে রাখা এবং আরও মনোসংযোগ বাড়ানো। যদি এই জিনিসদু’টো ও করতে পারে তাহলে সিরাজের সাফল্যের শেষ থাকবে না।’