ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ায় ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড হুমকির মুখে পড়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে মরিয়া বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের মাটিতে তৃতীয় ওয়ানডের আগে সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্য নিয়ে শুক্রবার (৩ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। দুপুর ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২০১৬ সালে এই ইংল্যান্ডের কাছেই ঘরের মাঠে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজে জয় পায় টাইগাররা। ২০১৫ সালের পর মিরপুরে নিজেদের দুর্গে ইংল্যান্ডের কাছে হার বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। জানা আছে, চট্টগ্রামের উইকেট ফ্লাট থাকবে যা ইংল্যান্ডের শক্তি। এজন্য প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এখন যদি সিরিজে সমতা আনতে পারে তাহলেও ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে কি-না সেটি বড় চিন্তার বিষয়।
আট বছর আগে প্রথম ম্যাচ হেরে যাবার পরও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের নজির গড়েছিলো বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওয়ানডেতে নিজেদের পরিকল্পনামত দারুণ পারফরমেন্স করেছে ইংল্যান্ড। এমন উইকেটে যেখানে ভারত-শ্রীলঙ্কা লড়াই করেছে সেখানে ভিন্ন পরিকল্পনায় খেলেছে ইংল্যান্ড। স্পষ্টভাবেই ঢাকা লিগ ও বিপিএলে টানা ছয় বছর খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে ডেভিড মালানের। বল হাতেও বড় ভূমিকা পালন করেছে ইংল্যান্ডের বোলাররা।
বাংলাদেশকে বড় জুটি গড়তে দেয়নি ইংল্যান্ডের বোলাররা। স্বাগতিকদের মাত্র ২০৯ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। মিরপুরে অন্তত ২৩০ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো। মালান ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘বোলাররা যেভাবে বল করেছে তাদের জন্য গর্বিত। কিন্তু আমাদের মালানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
এদিকে, হার দিয়ে বাংলাদেশের কোচ হিসবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তামিম বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, আমাদেও আরও অন্তত ৩০-৩৫ রান করা উচিত ছিল। স্পিনারদের জন্য এটি একটি ভাল উইকেট ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেছি এবং দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েছি। এই উইকেটে ২৫০ রান করা যায়। আমরা ঐ পথেই ছিলাম। বোলিং ইউনিট ভাল বল করেছে, আমরা ভাল ফিল্ডিং করেছি এবং ভাল লড়াই করেছি। মালানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২ লড়াইয়ের মধ্যে ১৮টিতে জয় ও ৪টি হার ইংল্যান্ডের। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের নজির গড়তে পারেনি অন্য দলগুলো, এবার সেটিই করতে চাইবে ইংলিশরা। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে পারে তবে একমাত্র দল হিসেবে ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে দু’বার দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির গড়বে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ আমরা জিততে পেরে আনন্দিত। এ ম্যাচের কন্ডিশন নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। এটি কঠিন কন্ডিশন। এই উইকেটে কিভাবে খেলতে হয় মালানের ইনিংস আমাদের জন্য বড় উদাহরণ।’