অতীত বিশ্বকাপগুলো বিদ্রোহ আর বিতর্কে ঠাসা ছিল ক্যামেরুনের। ২০১৪ বিশ্বকাপে বেতন বোনাসের দাবিতে বিমানে উঠতেই আপত্তি করেছিল! সেই দলটা রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও কাতারে এসেছে অঘটনের স্বপ্ন নিয়ে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড।
ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়াকে নিয়ে গড়া কঠিন গ্রুপে (‘জি’) তারা আন্ডারডগই। শীর্ষ র্যাঙ্কধারীদের দলে ক্যামেরুনের অবস্থান সবচেয়ে কম- ৪৩তম। সেরা সাফল্যও বলতে ১৯৯০ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল। সেই শক্তি-সামর্থ্য এখন আর নেই যদিও। কোনও রকমে অষ্টম বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারা দলটা টুর্নামেন্টের সর্বশেষ ম্যাচও জিতেছে ২০০২ আসরে! অঘটনের বিশ্বকাপে ক্যামেরুনও চাইছে সৌদি আরব-জাপানের মতো অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে। দলটির কোচ ও সাবেক অধিনায়ক রিগোবার্ট সং তাই বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা বেশ কিছু চমক দেখেছি। আমারও আমাদের প্রতিপক্ষকে সম্মান দেই। তবে মাঠেই প্রমাণটা মেলে কে বেশি শক্তিশালী।’
অবশ্য শক্তি-সামর্থ্যের কথা বিবেচনায় নিলে সুইজারল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখতে হবে। নেশন্স লিগসহ ইউরোতে অসাধারণ নৈপুণ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটার র্যাঙ্কিং ১৫তম। তবে ক্যামেরুন কোচ কিন্তু সেই র্যাঙ্কিংকেও পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘মাঠের খেলাতে এসব র্যাঙ্কিংও পাত্তা পায় না। সব জানালা দিয়ে বের হয়ে যায়।’
বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ড-ক্যামেরুন এবারই প্রথম মুখোমুখি। তার পরেও পাঁচবারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের এত আত্মবিশ্বাস এই জায়গায় যে- অতীতের মতো দিগভ্রান্ত হওয়ার মতো কোনও ইস্যু নেই দলে। ক্যামেরুন কোচের সন্তুষ্টি, ‘আমরা এখন অনেক শান্ত ও তুষ্ট এই কারণেই যে অতীতের ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না। এবার আমাদের বেতন-বোনাস নিয়ে কোনও ঝামেলা নেই। আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের সেই দুর্দশা এখন অনেক বদলেছে। যেহেতু স্যামুয়েল ইতো এখন প্রেসিডেন্ট।’