Image default
খেলা

সুযোগ মিসে হাতছাড়া জয়

ম্যাচের বয়স তখন ৬ মিনিট। হঠাৎ মাঠে ঢুকে খেলায় ব্যাঘাত ঘটায় কুকুর। সেই কুকুর তাড়ানোর দৃশ্য দেখে দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন । কিন্তু গোল মিসের কারণে বাংলাদেশের জয়োল্লাস করে বাড়ি ফিরতে পারেননি তারা। জামাল ভূঁইয়ার দলকে হতাশায় ডুবিয়ে মঙ্গোলিয়া মাঠ ছেড়েছে জয়ের সমান ড্র ছিনিয়ে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে গোলশূন্য ড্র হয় প্রীতি ম্যাচটি। তাতে হাতছাড়া বাংলাদেশের জয়।

শেষ ছয় মাস ধরে অনুশীলনে নেই মঙ্গোলিয়া। দেশের লিগও বন্ধ গত অক্টোবর থেকে। গত বুধবারে লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। সেই এক ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে মঙ্গোলিয়া বুঝিয়ে দিলো কেন তারা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে।

এই ড্র দেখতেই কি গ্যালারীর টিকিট কেটেছিলেন দর্শকরা। ১০০ টাকা দরে টিকিট হলেও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফ্রিতে খেলা দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল বাফুফে। গ্যালারীতে ছেয়ে গিয়েছিল তাদের আধিপত্য। কিন্তু দিনশেষে স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে জয় হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপে পুড়ে।

দ্বিতীয় ম্যাচে এসেও জয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো না বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার। মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হারার পর একাদশে নতুনত্ব আনেন দুটি। বিশ্বনাথের জায়গায় রিমন হোসেন আর সিলেটের ঘরের ছেলে বিপলু আহমেদের পরিবর্তে নেওয়া হয় আতিকুর রহমান ফাহাদকে।



ফরমেশনেও বদল আনেন কোচ। ৪-১-৪-১ কৌশলে যে মানিয়ে নিতে খাবি খাচ্ছিলেন ফুটবলাররা তা লক্ষ্য করা গেছে শুরু থেকেই। নয়তো কেনই বা প্রথম মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে পা ছোয়াই লাগাতে পারবেন না সুমন রেজা। বাংলাদেশি এই স্ট্রাইকারের ভুল এখানেই শেষ নয়।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সুযোগ ছিল তার পক্ষে ২০০২ সালের আলফাজ হওয়ার। কিন্তু তা হেলায় হারালেন সুমন। ৪১ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ডি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার শটটি ফিরে আসে পোস্টে লেগে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও ডি বক্সে বল পান সুমন। কিন্তু এবারো গোলের তালা খুলতে পারেননি বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড। তার বা পায়ের শটে বল যায় পোস্টের উপর দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে সুমনকে বদলে নাবিব নেওয়াজ জীবনকে নামান কাবরেরা। তাতেও বদলায়নি দৃশ্যপট। ৭২ মিনিটে রিমনের ক্রস থেকে জামালের প্লেসমেন্ট ঠেকিয়ে দেন মঙ্গোলিয়ান গোলরক্ষক। চার মিনিট পরই অধিনায়ককে উঠিয়ে ঘরের ছেলে বিপলুকে নামান কাবরেরা। বাকি সবার মতো বিপলুও হতাশ করেন তার কাছের লোকেদের।

অন্যদিকে, মঙ্গোলিয়ার লক্ষ্যই ছিল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় খেলা। দিনশেষে নিজের পরিকল্পনায় সফল দেশটির জাপানিজ কোচ ইচিরো ওতসুকা। সংবাদ সম্মেলনেও নিজেকে নিয়ে অহংকার বোধ করেন। ভাগ্য পাশে থাকলে হয়তো ইচিরোর জায়গায় থাকতেন কাবরেরা। স্বাভাবিকভাবেই তার কন্ঠে ফুটে ওঠে অতৃপ্তির ছোয়া। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি খুশিভ। তবে জিততে পারলে ভালো লাগতো।’

Source link

Related posts

কোল্টস মালিক তারকা অনুরোধ RB সত্ত্বেও জোনাথন টেলর জন্য বাণিজ্য বাতিল: রিপোর্ট

News Desk

নিক্স-পেসারস গেম 5 ডন্টে ডিভিনসেঞ্জোকে কঠিন ফাউল করার পরে রেগে যায়

News Desk

কে হচ্ছেন অ্যাডাম জাম্পার জীবনসঙ্গী?

News Desk

Leave a Comment