বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময়ে খেলা নিয়ে জয় পাওয়াই ক্রোয়েশিয়ার মূল অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপে রীতিমতো কোনো রকম গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিয়ে নক আউট রাউন্ডে এসে অতিরিক্ত সময়ে এসে দেখায় নিজেদের যাদু।
আর এ যাদুতে দুই আসর ধরে বড় ভূমিকা রাখছে ক্রোয়েট গোলরক্ষকগুলো। ২০১৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোলবার সামলে ছিলেন দানিয়েল সুবাসিচ। সে ফাইনাল অবদি দলকে নিয়ে যাওয়ার মূল নায়ক হিসেবে অবদান রেখেছেন। এবার কাতার বিশ্বকাপেও ঘটছে একই ঘটনা। গোলকিপারই দলের নায়ক হিসেবে টেনে নিয়ে গেলেন সেমিফাইনালে। তবে এবার নায়ক সুবাসিচ নয় এবার নায়ক ডমিনিক লিভাকোভিচ। যে কি না নিজের অভিষেক ম্যাচে টাইব্রেকারে হারিয়ে বনে গিয়েছিলেন খলনায়ক।
লিভাকোভিচ ২০১৬ সালের মে মাসে ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন। পরের বছর চিলির বিরুদ্ধে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তার অভিষেক হয়। ক্রোয়েশিয়া ও চিলির সেই ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছেছিল। টাইব্রেকারে বেশ কয়েকটা বল তার হাত গলে জালে চলে গিয়েছিল। লিভাকোভিচের ভুলেই চিলির কাছে সেই ম্যাচ টাইব্রেকারে হারে ক্রোয়েশিয়া। তবে এবারের বিশ্বকাপে জাতীয় দলের প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়ে পরপর দুই খেলায় জাপান এবং ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে নায়ক বনে জান এই ক্রোট গোলকিপার। মরুর দেশে আসার আগেও বিশ্বকাপে মাঠে নামার অভিজ্ঞতা রয়েছে লিভাকোভিচের।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও ক্রোয়েশিয়ার স্কোয়াডে ছিলেন লিভাকোভিচ। তবে নিয়মিত সুযোগ পাননি দলে। কারণ সেই সময় ক্রোয়েশিয়ার ১ নম্বর গোলকিপার ছিলেন সুবাসিচ। রাশিয়া বিশ্বকাপে সুবাসিচ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে জিতিয়ে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন। পরে তার জায়গা নেন লভ্রে কালিনিচ। তার খারাপ ফরমের জন্য ২০২০ সালের ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে তাকে প্রথম গোলকিপার হিসেবে খেলানো শুরু করেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ ডালিচ। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লিভাকোভিচকে। সেই থেকেই দলের ১ নম্বর গোলকিপারের জায়গা দখল করে নিয়েছেন।