রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাত্র ৫২ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন দেবদূত পাডিকাল। তাঁর ব্যাটে ভর করে সাঞ্জু স্যামসনের দলকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আইপিএলে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্ক ছুঁয়ে পাডিকালের মনে পড়ছে কদিন আগের অন্ধকার দিনগুলোর কথা। আইপিএল শুরুর ঠিক আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এই ওপেনার। সেই সময় খুব ভেঙ্গে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পাডিকাল।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলাম, তখন সবার আগে মনে হল কবে মাঠে নামব। তারপর প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারিনি। খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আমি খেলার জন্য ছটফট করছিলাম।’
ওয়াংখেড়ের উইকেট বরাবরই সহায়তা দেয় ব্যাটসম্যানদের। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই বিরাট কোহলির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বেঙ্গালুরুকে জিতিয়েছেন পাডিকাল। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। দুজনই ভালো ব্যাট করায় কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।
পাডিকাল বলেন, ‘শুক্রবার ওয়াংখেড়েতে বল খুব ভাল ভাবে ব্যাটে আসছিল। আমরা দুজনেই ভাল খেলতে শুরু করায় কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। আমি বিরাটকে বলেছিলাম চালিয়ে খেলতে, কারণ আমার শতরানের থেকে দলের জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
দলকে বড় জয় উপহার দিতেই নিয়মিত প্রান্ত বদল করে খেলেছেন পাডিকাল ও কোহলি। ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক কোহলিকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এই ওপেনার।
কোহলির সঙ্গে জুটি নিয়ে পাডিকাল বলেন, ‘আমরা দুজনেই বুঝে গিয়েছিলাম যে, ভাল খেলছি। কখনও ও ভাল খেলেছে, কখনও আমি ভাল খেলেছি। তাই উইকেট ছুঁড়ে না দিয়ে শুধু প্রান্ত বদল করে খেলতে থাকি।’
চলতি আসরে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই জয় পেল ব্যাঙ্গালোর। তবে এখনই সমর্থকদের অতি উৎসাহিত হয়ে না পড়ার সতর্কবার্তাও দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক কোহলি। তিনি বলেন,
‘সমর্থকদের বলব, এখনই অতিরিক্ত উৎসাহিত না হতে। আমরা সবাই পেশাদার খেলোয়াড়। সবাই জানি, যেকোনো সময়ই দল ছন্দ হারাতে পারে। তাই আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই।’