বুধবার (১৪ এপ্রিল) ফিরতি লেগে লিভারপুলের মাঠে ড্র করেও প্রথম লেগের বড় জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুলকে ঘরের মাঠে জিততে হতো অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে। ফলে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলের জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে আসরের শেষ চার নিশ্চিত হয় প্রতিযোগিতার সর্বাধিক তেরোবারের চ্যাম্পিয়নদের।
পিছিয়ে পরেই আজ মাঠে নেমেছিল লিভারপুল, নিজেদের মাঠে দিতে হতো অন্তত তিন গোল। সেটা যে এর আগে করতে পারেনি তা নয়। অ্যানফিল্ডে কামব্যাকের অনেক স্মরণীয় গল্প আছে, বার্সেলোনার ম্যাচটা তো অনেকেরই মনে থাকার কথা। এ ছাড়াও অন্তত দুই গোলে পিছিয়ে থেকে গত ১৩ ম্যাচে লিভারপুল ঘুরে দাঁড়িয়েছে আরও এক বার। আর রিয়াল পিছিয়ে থেকে একবারই হেরেছিল, সেই ২০০৪-৫ মৌসুমে দুই গোলে।
তিন বছর আগে কিয়েভে এই লিভারপুলকে হারিয়ে আধুনিক যুগে প্রথম ক্লাব হিসেবে হ্যাট্রিক ইউরোপ সেরা হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ। আজ আরও একবার ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের কাঁদিয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। এবার ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে লিভারপুলকে টপকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লস ব্লাংকোসরা।
লিভারপুলের একের পর এক আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠে সফরকারীদের ডিফেন্সে। তবে স্বাগতিকদের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের এতটুকু ছাড় দেয়নি লস ব্লাংকোসরা। অলরেডদের দারুণসব আক্রমণ অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। সুযোগ বুঝে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদও প্রতি আক্রমণে বেশকিছু সুযোগ তৈরি করে। তবে লিভারপুল গোলরক্ষকের বীরত্বে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস ও মার্কো অ্যাসেনসিওরা। শেষ পর্যন্ত কোন দলই জালের দেখা না পেলে গোলশূন্য শেষ হয় দুই দলের দ্বৈরথ।
এতে প্রথম লেগের ঘরের মাঠে বড় জয়ে ভাগ্য খুলে যায় জিনেদিন জিদানের দলের। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে সবশেষ ১৬ বারের ১৫ বারই প্রথম লেগে জয় পেয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল রিয়াল মাদ্রিদ। সবমিলিয়ে এই ড্রয়ে সবশেষ টানা চার ম্যাচ লিভারপুলের সঙ্গে অপরাজিত থাকলো লস ব্লাংকোসরা, যার মধ্যে তিনটিই জয় পেয়েছে।