ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুমে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটিং ধরণ বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। অভিযোগের ডালপালা মেলতে শুরু করে আজ ষষ্ঠ রাউন্ডে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে। তবে সেই অভিযোগ বড় হতে দেননি বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৫ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসটি ম্লান হয়েছে গাজী গ্রুপের জয়ে।
অফ ফর্মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা হারান সৌম্য। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকলেও তিন ম্যাচের একটিতেও একাদশে সুযোগ পাননি। ডিপিএলের শুরুটাও ভালো হয়নি তার। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি। টানা দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকানোরে পর আজও একই পথে হাঁটছিলেন, তবে আক্ষেপ বাড়িয়ে আউট হন ৩৭ রান করে। সঙ্গে মুমিনুল, মেহেদী হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের প্রচেষ্টায় ওল্ড ডিওএইচএসের ১৩৭ রানের লক্ষ্য টপকে ৬ উইকেটে জয় পায় গাজী গ্রুপ।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ওল্ড ডিওএইচএস। তবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি তাদের। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে তুলতে পারে মোটে ৪৬ রান। আনিসুল ইসলাম ইমন, রাকিন আহমেদ, মোহাইমিনুল খান, রায়ান রহমান আর রাকিবুল ইসলামরা কেউই আউট হওয়ার আগে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ধরে খেলতে থাকেন জয়।
১৮ ওভারের খেলা শেষেও ওল্ড ডিওএইচএসের স্কোর বোর্ডে ছিল ৯৬ রান। যেখানে ৪০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটির স্বাদ পান জয়। পরের ২ ওভারে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৪০ রান তোলে ওল্ড ডিওএইচএস। জয়ের অবদান ১৫ বলে ৩৫ রান। ২০ ওভার শেষে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস থামে ১৩৬ রানে। জয় অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। ৫৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি ছয় ও ৩টি ছয়ের মারে। গাজী গ্রুপের হয়ে ১০ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।
১৩৭ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে ব্যাট হাতে আগ্রাসী শুরু করেন গাজীর ওপেনার শেখ মেহেদী হাসান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ২২ রান করে আউট হন আলিস আল ইসলামের বলে। এরপর মুমিনুলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সৌম্য। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজন। পরে মুমিনুল ২৬ রান করে আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৬৫ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে।
সৌম্যর সামনে সুযোগ ছিল টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নেওয়ার, তবে আক্ষেপ বাড়িয়ে ৩৭ রান করে রাকিবুল হাসানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৯ ও ইয়াসির আলীর রাব্বির অপরাজিত ২৪ রানের কল্যাণে ৬ বলে হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় গাজী গ্রুপ।