বাংলাদেশ ইনিংসের ৪৭তম ওভারে দুশমন্ত চামিরার বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন বাঁহাতি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ছুটে আসেন ফিজিও। সে বলেই রানআউট হওয়ায় আর ব্যাটিং করতে হয়নি। তবে ড্রেসিংরুমে ফিরে মাথায় আঘাতের তীব্রতা টের পান এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
তাই ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী মাথায় আঘাত লাগার কারণে কনকাসন সাব করা হয় সাইফউদ্দিনকে। তার জায়গায় বোলিংয়ের জন্য নামানো হয় ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে। আর সতর্কতাস্বরুপ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথার স্ক্যান করানোর জন্য।
রাজধানী এভারকেয়ার হাসপাতালে সাইফউদ্দিনকে স্ক্যান করাতে নেয়ার খবরে দেখা দেয় শঙ্কা, তাহলে কী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার? দীর্ঘসময়ের জন্য বাইরে থাকতে হবে? এ সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা ছিল সিটি স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসের ১৫ ওভার শেষ হতেই চলে আসে স্ক্যান রিপোর্ট। সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, শঙ্কার কিছু নেই। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সাইফউদ্দিনকে।
দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা সতর্কতাস্বরুপ স্ক্যান করাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম সাইফউদ্দিনকে। স্ক্যান রিপোর্ট ভালো। কোনো জটিলতা নেই। তবু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য নিউরোলজিস্টের সঙ্গে কথা বলবো। আপাতত পর্যবেক্ষণে থাকবে সাইফউদ্দিন।’
উল্লেখ্য, কনকাসন সাব নিয়ম আনার পর ২০১৯ সালের অ্যাশেজে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গেছে এই নিয়মের বাস্তবায়ন ঘটতে। তবে পুরুষদের ওয়ানডে ক্রিকেটে এবারই প্রথম দেখা গেলো কনকাসন সাবের ঘটনা। যার ফলে একপ্রকার ইতিহাসেরই অংশ হয়ে গেলেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।