২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সেরা পারফরমার ছিলেন বেন স্টোকস। অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে জয়ের পথটা তারই গড়ে দেওয়া। তার পর তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বিজয়ের ছবি আঁকলো তারই ব্যাট ধরে। চাপের সময়ে বার বার ইংলিশদের উদ্ধার করা যেন তার ব্রত হয়েই দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য সেই ব্রত নেওয়ার পেছনে ২০১৬ সালের ঘটে যাওয়া ঘটনাই ভূমিকা রাখতে পারে। কলকাতায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দেখে তারই শেষ ওভারে। তার পর থেকে ইংলিশ এই অলরাউন্ডার নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেছেন। যার কাছে চাপ নামক মানসিক বাঁধা যেন কোনও প্রতিবন্ধকতা-ই নয়। দুই টুর্নামেন্টে সেটি প্রমাণও করেছেন। ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার তাই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন স্টোকসকে। ফাইনালে ৪৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইংলিশদের চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। তার পর তো স্টোকসের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতেই (৫২*) জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলা। বাটলার বলেছেন, ‘স্টোকস বার বার বড় মঞ্চে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, যখন ভীষণ চাপ। এই চাপ সে দারুণভাবে সামলাতে জানে এবং পারফর্মও করতে জানে।’
দুবার ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচ জেতানো ব্যাটিং করায় স্টোকসকে অন্যতম কিংবদন্তিদের কাতারে ফেলাটা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। বাটলারও তাই বলছেন, ‘এসব পরিস্থিতিতে ও থাকলেই ধরে নেওয়া যায়, আমাদের দারুণ সম্ভাবনা আছে। ও সত্যিকার ম্যাচ উইনার। সে ইংলিশ ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি।’