দিনকয়েক আগেও নিশ্চিত ছিল না আদৌ নাইটদের হয়ে প্রথম ম্যাচে তিনি মাঠে নামতে পারবেন কীনা। যদিও আশঙ্কা দূরে সরিয়ে করোনাকে হারিয়ে পুরো ম্যাচ ফিট করে ফেলেছিলেন নিজেকে। আর আইপিএলের প্রথম ম্যাচে নীতিশ রানা বুঝিয়ে দিলেন মারণ ভাইরাস তাঁকে একেবারেই কাবু করতে পারেননি। দিনের প্রথম বল ভুবনেশ্বর কুমারকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে শুরু করেছিলেন রানা। আর ৮০ রানে যখন থামলেন, তখন ১৭.৪ ওভারে দলের রান ১৬০। অর্থাৎ, দলকে রানের পাহাড়ে তোলার ব্যবস্থা করেই আউট হন দিল্লি ব্যাটসম্যান।
আর ম্যাচের সেরা হয়ে রানা বলছেন, আওতায় থাকা সমস্ত বলকেই হিট করার চেষ্টা করেছি। গিলের সঙ্গে প্রথমে অর্ধশতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপ, এরপর রাহুল ত্রিপাঠীর সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটিই এদিন নাইটদের বড় রান করার রাস্তা সাফ করে দেয়। ম্যাচের পর নাইটদের বাঁ-হাতি ওপেনার জানান, ‘ভুবনেশ্বরের প্রথম বলটা আমার আওতার মধ্যে ছিল এবং সৌভাগ্য যে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করতে পেরেছি। গেমপ্ল্যান ছিল যে আমার আওতার মধ্যে থাকা সমস্ত বল আমি হিট করার চেষ্টা করব। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সেটাই করেছি।’
আর সানরাইজার্সের দুই তারকা আফগান স্পিনার রশিদ খান এবং মহম্মদ নবিকে সামলানো প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে স্পিনের বিরুদ্ধে খেলে আসছি। সুতরাং, বলতে গেলে স্পিন বোলিং একপ্রকার আমার রক্তে।’ এদিন সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে রানার ৮০ রানের ইনিংসটি আসে মাত্র ৫৬ বলে। দিল্লি ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চার এবং ৪টি ছয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়া রাহুল ত্রিপাঠী ছিলেন আরও মারমুখী। ৫টি চার ২টি ছয়ে ২৯ বলে ৫৩ রান করেন তিনি।
মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে ভর করেই প্রথমে ব্যাট করে এদিন ৬ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে নাইটরা। শেষদিকে ৯ বলে ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও আসে প্রাক্তন দলনায়ক দীনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সানরাইজার্স। বেয়ারস্টোর ৪০ বলে ৫৫ কিংবা মনীশ পান্ডের ৪৪ বলে অপরাজিত ৬১ রানও জয় এনে দিতে পারেনি ওয়ার্নারের দলকে। সৌজন্যে নাইট বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং।
শেষ অবধি অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সে ১০ রানে জয় দিয়ে সফর শুরু করে নাইটরা। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে শততম জয় তুলে নেয় তারা।