ম্যাচে বল দখল বা আক্রমণ, সবকিছুতেই পোল্যান্ডের থেকে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল স্পেন। কিন্তু গোল তো মিস করলোই, পেনাল্টিও কাজে লাগাতে না পেরে জয়বঞ্চিত হলো লুইস এনরিকের দল। সেভিয়ার লা কোর্তুয়ায় শনিবার রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পোল্যান্ড-স্পেনের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ে শেষ হয়েছে। টানা দুই ড্রয়ে গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে গেল লুইস এনরিকের দলের। ১৯৯৬ সালের পর ইউরোতে এবারই প্রথম দুই ম্যাচে জয়হীন থাকলো লা রোজারা।
অথচ ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলছিল স্পেন। আক্রমণও চালাতে থাকে। পোল্যান্ডও প্রতি আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। তবে লক্ষ্যে ছিল না কেউই। ম্যাচের ২৫ মিনিটে ঘুরে যায় মোড়। জেরার্ড মোরেনো ডান দিকে বক্সের বাইরে থেকে হঠাৎ ঢুকেই চোখের পলকে পাস দিয়ে দেন আলভারো মোরাতাকে। মোরাতা ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন জালে।
লাইনসম্যান অফসাইডের বাঁশি বাজান। পোল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও ভেবেছিলেন, গোল হয়নি। রেফারি ভিআরের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু রিপ্লে দেখে অফসাইড বাতিল হয়। গোল পেয়ে যায় স্পেন।গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় পোল্যান্ড। বিরতির ঠিক আগে ৪৩ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো তারা। কারল সুইডাস্কির শট দুর্ভাগ্যজনকভাবে পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে লেভানদোভস্কিও গোল পেতে পারতেন, স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণের সেই ধারা ধরে রাখে প্রথমার্ধে মাত্র ২১ ভাগ বল দখলে রাখা পোলিশরা। গোল পেতে সময় লাগেনি। ৫৫ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান রবার্ট লেভানদোভস্কি। জজওয়াকের উঁচু ক্রস থেকে বল পেয়ে শূন্যে লাফিয়ে উঠে জোড়ালো এক হেডে পোস্টের বাঁ দিকের কর্নার ঘেঁষে গোল করেন পোলিশ স্ট্রাইকার।
এর দুই মিনিট পর পেনাল্টি পেয়েছিল স্পেন। পোলিশ মিডফিল্ডার জ্যাকুব মডের বিপজ্জনক জায়গায় ফেলে দেন জেরার্ডকে। ভারের সাহায্যে স্পট কিকের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু জেরার্ড মরেনো মিস করে বসেন পেনাল্টি। এরপরও মোরাতা-তরেসরা আক্রমণ সাজিয়ে গোলের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।