আগের ৪ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মোটে দুটি। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বেদম মার খেয়েছেন। তার ৩ ওভার থেকে ৩৭ রান তুলে নিয়েছিলেন দুই জিম্বাবুইয়ান ওপেনার মারুমান্নি আর মাধুভেরে। শেষ ম্যাচে এমন প্রচন্ড মার খাওয়া স্পিনার নাসুম আহমেদকে কী আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলানো হবে? তা নিয়ে ছিল সংশয়; কিন্তু খেলার আগের দিন সিদ্ধান্ত হয় তাকে খেলানোর।
এবং এ সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে রীতিমত একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জও নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাসুমকে খেলাতে গিয়ে তাদেরকে সাইফউদ্দিনের মত পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে বাদ দিতে হয়েছে। যে সাইফউদ্দিন সব সময়ই শেরে বাংলার পিচে প্রমাণিত কার্যকর বোলার হিসেবেই পরিগণিত। সাইফউদ্দিনের ট্র্যাক রেকর্ডও হোম অফ ক্রিকেটে সব সময়ই ভাল।
তাকে বাইরে রেখে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে খেলানোয় একটা ঝুঁকিও ছিল; কিন্তু নাসুম বল হাতে জ্বলে উঠে দল জিতিয়ে সব সংশয়-সন্দেহকে অমূলক প্রমাণ করে ছেড়েছেন। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম।
তাকে খেলতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে অসিদের। প্রথম ওভারে জোস ফিলিপেকে স্টাম্পড করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু নাসুমের। তারপর অসি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল খেলা মিচেল মার্শকে ৪৫ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ভাইটাল ব্রেক থ্রু উপহার দেয়া। আর তারপর অসি ক্যাপ্টেন ম্যাথ্যু ওয়েড আর অ্যাস্টন অ্যাগারকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাসুম।
আজকে নাসুমের বোলিংয়ে মিলেছে এক নতুন সত্যের দেখা। তাহলো তার আগের ৪ ম্যাচ ছিল দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টন, নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হারারের শতভাগ ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে। যেখানে গিয়ে আসলে নিজের করণীয় কি তা বুঝে উঠতেই সমস্যা হয়েছে তরুণ নাসুমের।