কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিট ছিলো না আফ্রিকার দেশ মরক্কো। কেউ হয়তো কল্পনাও করেনি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলবে মরক্কো। তবে ঠিকিই নিজেদের জাত চিনিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে পা রাখে মরক্কো। শুধু তাই নয়, ইতিহাস গড়ে প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় মরক্কো। ফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়েই সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো মরক্কো। তবে মরক্কোর সেই স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স।
তবে হারেও মাথা উঁচু রাখতেই পারেন মরক্কোর ফুটবলাররা। যেই দলকে নিয়ে কেউ কল্পনায় করেনি এতো দূর আসবে সেই কল্পনায় সত্যি করে সেমিফাইনাল খেলেছে মরক্কো। অদম্য মানসিকতা ও সাহসী ফুটবল খেলে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন আশরাফ হাকিমি, জিয়েচ, ওনাহি। তাদের সাহসী ফুটবলের কাছে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের মত ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের। বিপক্ষ দলের চোখে চোখ রেখে বিশ্বকাপ রাঙ্গিয়েছেন তারা।
এমনকি সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হারলেও চেষ্টার কোন কমতি ছিলো না মরক্কোর ফুটবলারদের। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৬১% বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন তারা। শুধু গোলের দেখা পায়নি তারা। নিজেদের লড়াকু মানসিকতা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন হাজারো ফুটবলপ্রেমীর মন। এছাড়াও সমীহ আদায় করেছেন বিপক্ষ দলের কোচ ও খেলোয়াড়দের। তাইতো ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের ফুটবলার ও কোচদের। জিরুড ও দেশম মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগুইকে জড়িয়ে ধরে জানিয়েছেন সাধুবাদ। আর তাই হারলেও মাথা উঁচু আছে মরক্কোর ফুটবলারদের।